২৭ হাজার ছাড়িয়ে গেল সেনসেক্স। ১৫১.৮৪ পয়েন্ট বেড়ে থিতু হল ২৭,০১৯.৩৯ অঙ্কে। মাত্র ৪০ দিনের লেনদেনেই সূচক বেড়েছে ১০০০ অঙ্ক। তার গতি এখন উপরের দিকেই থাকবে বলে দৃঢ় ধারণা বিশেষজ্ঞদের। তবে এ দিন ১৫ পয়সা পড়েছে টাকার দাম। এক ডলার দাঁড়িয়েছে ৬০.৬৮ টাকা।
এপ্রিল-জুন ত্রৈমাসিকে বৃদ্ধি প্রত্যাশা ছাপিয়ে ৫.৭% ছোঁয়ার খবরের পরে এ সপ্তাহের প্রথম দিনেই বাজারে এসেছে চলতি খাতে বৈদেশিক মুদ্রার লেনদেন ঘাটতি কমার খবরও। শেয়ার বাজার তেজী হওয়ার মূলে যে-উপাদানগুলি বিশেষ ভাবে কাজ করে থাকে, তার মধ্যে আর্থিক বৃদ্ধি এবং লেনদেন ঘাটতি কমা বিশেষ ভাবে উল্লেখযোগ্য।
তবে যে-বিষয়টি শেয়ার বাজারকে দ্রুত উপরের দিকে তুলে দিচ্ছে, তা হল আস্থা। প্রবীণ বাজার বিশেষজ্ঞ অজিত দে বলেন, “শুধু লগ্নিকারীদের আস্থাই নয়, দেশের আর্থিক অবস্থার প্রতি শিল্পপতিদের আস্থাও ফিরতে শুরু করেছে। তারই ছায়া পড়েছে বাজারে।”
এই আস্থা ফিরে আসার কারণ কী? কেন্দ্রে সরকার বদলের পরে অর্থনীতিতে বড় মাপের কিছু এখনও না-ঘটলেও, অন্তত নেতিবাচক তেমন কিছু লক্ষ করা যাচ্ছে না বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। অজিতবাবু বলেন, “ইউপিএ-র আমলে দীর্ঘ দিন ধরে আর্থিক ক্ষেত্রে ইতিবাচক কোনও লক্ষণই দেখা যাচ্ছিল না। বিজেপি সরকার গত ১০০ দিনে যে-সব পদক্ষেপ করেছে, তা এক দিকে শিল্পপতিদের ও অন্য দিকে বাজারে লগ্নিকারীদের মধ্যে যে এ বার আস্থা ফেরাতে শুরু করেছে, ইতিমধ্যেই তার ইঙ্গিত মিলছে।”
অজিতবাবুর মতো বাজার বিশেষজ্ঞদের এই ধারণার মধ্যে যে সারবত্তা রয়েছে, বিদেশি লগ্নিকারীদের বিনিয়োগের বহর বৃদ্ধিই তার প্রমাণ। তারা ভারতে টানা লগ্নি করে চলেছে।
সূচকের উত্থান বেশ কিছু কাল যাবৎ হলেও বাজারে স্থিতিশীলতা ফিরে আসার কথা এত দিন কেউ জোর দিয়ে বলতে পারছিলেন না। এই দিন অজিতবাবু বলেন, “আগে অল্প কিছু নামী সংস্থার শেয়ারের দামই বাড়ছিল। হালে মাঝারি মাপের মূলধনের সংস্থার দরও বাড়তে শুরু করেছে। বাজার যে সার্বিক ভাবে বাড়ছে, এটা তারই ইঙ্গিত।” বিদেশি লগ্নিকারী সংস্থাগুলি হালে মাঝারি সংস্থার শেয়ারেও টাকা ঢালছে। অজিতবাবু বলেন, “এটা পরিষ্কার যে, ওই সব সংস্থাও মনে করছে মাঝারি সংস্থাগুলির ভবিষ্যতে ভাল মুনাফার সম্ভাবনা আছে। এর ফলে বাজার এখন সার্বিক ভাবে বাড়ার সম্ভাবনা উজ্জ্বল বলে আমার বিশ্বাস।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy