টানা তিন দিনে ৩৭৪.৬৯ পয়েন্ট পড়ল সেনসেক্স। যাকে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সংশোধন। সূচক কিছুটা ওঠার পরে যা স্বাভাবিক নিয়মেই ঘটে থাকে।
সোমবার অবশ্য সেনসেক্স মাত্র ৪৭.৭৯ পয়েন্ট পড়ে থামে ২৯,৪১৩.৬৬ অঙ্কে। নিফ্টি ১১.৫০ পয়েন্ট পড়ে থিতু হয়েছে ৯,১৩৯.৩০ অঙ্কে। টাকাও ১১ পয়সা পড়ায় এক ডলার ছুঁয়েছে ৬৪.৫২ টাকা।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দেশ-বিদেশের কোনও ঘটনা এখন সূচকের ওঠা-নামায় তেমন প্রভাব ফেলতে পারছে না। যেমন, পাইকারি মূল্যবৃদ্ধির হার ফেব্রুয়ারির ৬.৫৫% থেকে কমে মার্চে দাঁড়িয়েছে ৫.৭%। যা লগ্নিকারীদের পক্ষে স্বস্তির। কিন্তু বাজারকে তা তেমন নাড়া দিতে পারেনি। আবার আমেরিকার সঙ্গে সিরিয়া এবং উত্তর কোরিয়ার সম্পর্কের অবনতির জেরে উত্তেজনা দানা বাঁধলেও, ভারতের বাজার তা নিয়ে তেমন মাথা ঘামাচ্ছে না।
বরং স্টুয়ার্ট সিকিউরিটিজের চেয়ারম্যান কমল পারেখের মতে, বাজার এখন সংস্থাগুলির ২০১৬-’১৭-র আর্থিক ফলের অপেক্ষায় আছে। তাঁর কথায়, ‘‘শেয়ার প্রতি আয়ের গড় অঙ্ক বেশ উঁচুতে। সংস্থাগুলির আর্থিক ফল তার সঙ্গে সামঞ্জস্য রাখতে না-পারলে সূচক পড়বে। তবে তা হবে স্বল্প মেয়াদি।’’ বিশেষজ্ঞ অজিত দের মতে, কেন্দ্রে স্থায়ী সরকার, দ্রুত জিএসটি চালুর সম্ভাবনা, ডলারে টাকার দাম বাড়া, ৭ শতাংশের বেশি আর্থিক বৃদ্ধি ইত্যাদি সূচকের ওঠার পথ গড়ে দিতে পারে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy