ছবি সংগৃহীত।
অর্থনীতির হাজার প্রতিকূলতা উপেক্ষা করে ৩৯ হাজার পেরিয়েছিল সেনসেক্স। দ্রুত করোনার টিকা বাজারে আসার বিশ্বাসে ও শিল্প-চাহিদা-বিক্রিবাটার দ্রুত ঘুরে দাঁড়ানোর আশায়। কিন্তু অনিশ্চয়তা প্রকট করে গত শুক্রবারের আগে টানা ছ’দিন পড়েছে বাজার। শুধু সোম থেকে বৃহস্পতিই সূচক পিছলেছে প্রায় ২৩০০ পয়েন্ট। নেমেছে ৩৬ হাজারের ঘরে। লগ্নিকারীরা বিপুল শেয়ার সম্পদ খুইয়েছেন। ধাক্কা খেয়েছে শেয়ার নির্ভর মিউচুয়াল ফান্ডও (ইকুইটি ফান্ড)। তবে শুক্রবার সেনসেক্স ফের ৮৩৫ পয়েন্ট ওঠে আমেরিকা নতুন করে ত্রাণ প্রকল্প ঘোষণা করতে পারে, এই জল্পনায়। থামে ৩৭,৩৮৯ অঙ্কে।
ইউরোপের বেশ কিছু দেশে ভয় দেখাচ্ছে করোনা সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউ। সেই সব জায়গায় খুলেছিল ব্যবসা, অফিস। পর্যটনে বাধানিষেধ ওঠায় মানুষের ঢল নেমেছিল সমুদ্রতীর-সহ বহু টুরিস্ট স্পটে। কিন্তু অতিমারি সহজে পিছু ছাড়ার নয় বুঝে বিশ্ব অর্থনীতির কাঁপুনি বেড়েছে। ঘুরে দাঁড়ানোর প্রক্রিয়া কতটা পিছিয়ে গেল, সেই প্রশ্নেই আরও চেপে বসছে উদ্বেগ। আতঙ্কে কয়েকদিন টানা পতন দেখেছে বিশ্ব বাজার। ভারতীয় বাজার অনেকটাই বিদেশি লগ্নি নির্ভর বলে তার আঁচ টের পেয়েছে।
তা ছাড়া, অবস্থা বেগতিক ভারতেও। দৈনিক সংক্রমণে এখনও এক নম্বরে। সামনে উৎসবের মরসুম। খুলে দেওয়ার কথা চলছে দূরপাল্লা এবং লোকাল ট্রেন পরিষেবা। খুলেছে মেট্রো। ফলে সংক্রমণ আরও দ্রুত বাড়ার আশঙ্কা। এত অনিশ্চয়তাকে সঙ্গী করে শিল্প কবে, কতটা ছন্দে ফিরতে পারবে তা নিয়ে সংশয় বাড়ছে। ফলে অস্থির শেয়ার বাজার। মানুষ বুঝতে পারছেন না, কোথায় টাকা রাখবেন। ব্যাঙ্কে সুদ তলানিতে। সুদ কম স্বল্প সঞ্চয় প্রকল্পেও।
(মতামত ব্যক্তিগত)
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy