রকেটের গতিতে চড়ছে রুপোর দাম। মাত্র দু’দিনে প্রতি কেজি রুপোর বাট বেড়েছে ৯৭৫০ টাকা, পুজোর পরে আট দিনে ২২,২৫০ টাকা। শনিবার নজিরবিহীন ভাবে তা পৌঁছেছে ১,৬৮,৭০০ টাকায়। বিশেষজ্ঞদের দাবি, সরবরাহ কমেছে। বেড়েছে চাহিদা। তাতেই চড়ছে দাম। সূত্রের খবর, বহু মিউচুয়াল ফান্ড রুপোর ইটিএফে (এক্সচেঞ্জ ট্রেডেড ফান্ড) লগ্নি নেওয়া বন্ধ করেছে। ১০ গ্রাম খুচরো পাকা সোনা ছিল ১,২৩,৫৫০ টাকা।
সংশ্লিষ্ট মহলের দাবি, সোনার চড়া দাম রুপোয় লগ্নি বাড়াচ্ছে। তার উপর বিভিন্ন শিল্পের কাঁচামাল রুপো। কম্পিউটার, ঘড়ি, স্মার্টফোন-সহ প্রতিটি বৈদ্যুতিন পণ্য, গাড়ি, সৌর বিদ্যুতের মতো ক্ষেত্রে তা অপরিহার্য। বৈদ্যুতিক কাজকর্মেও ব্যবহার বহুল। এই সমস্ত শিল্পে ভারতের অগ্রগতি রুপোর চাহিদা বহু গুণ বাড়িয়েছে। কিন্তু তার জোগান সীমিত। বিশ্ব বাজারে মূল দামের উপর অতিরিক্ত অর্থ (প্রিমিয়াম) চাপিয়ে বিক্রি করছে সরবরাহকারীরা। জেজে গোন্ড হাউসের ডিরেক্টর হর্ষদ আজমেরা জানান, প্রিমিয়ামের হার বৃদ্ধি দাম চড়ার প্রধান কারণ। এক মাস আগেও ডলারের নিরিখে প্রিমিয়ামের হার ছিল কেজিতে ০.১২ সেন্ট (প্রায় ৫০০ টাকা)। এখন ২৫০ সেন্ট (প্রায় ২০,০০০ টাকা) হয়েছে।
বিশেষজ্ঞ আশিস নন্দী বলেন, ‘‘শিল্পের উপাদান হিসেবে রুপোর চাহিদা বেড়েছে। কিন্তু খনি থেকে রুপো উৎপাদন তেমন বাড়েনি। আমেরিকা যে কারণে এটিকে গুরুত্বপূর্ণ বিরল খনিজ ঘোষণা করেছে। চাহিদা-জোগানের ফারাকেই দাম চড়ছে লাফিয়ে। সোনায় লগ্নি করতে মূলধন বেশি লাগছে বলেও কদর বেড়েছে রুপোর।’’ পণ্য লেনদেন বিশেষজ্ঞ বিবেক ডালমিয়ার দাবি, তাতে ইন্ধন জোগাচ্ছে দুর্বল টাকা। সোনার বাজারের সংগঠন ডব্লিউবিবিএমজেএ-র সেক্রেটারি দীনেশ কাবরার আশ্বাস, ‘‘রুপোর জোগান বাড়লেই তার দামের উপর প্রিমিয়াম দ্রুত কমবে।’’
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)