E-Paper

বিমা সারেন্ডারে যুক্ত হল নতুন শর্ত, বাড়তে পারে প্রিমিয়ামের খরচ

সারেন্ডারের ক্ষেত্রে শর্তের ভিত্তিতে মেয়াদ শেষের আগে পলিসি বন্ধ করে টাকা তুলতে পারেন গ্রাহক। সাধারণ জীবন বিমায় প্রিমিয়ামের একাংশ দিয়ে গ্রাহকের জীবনের ঝুঁকির দিকটি সুরক্ষিত করা হয়।

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ০২ অক্টোবর ২০২৪ ০৮:২৫

—প্রতীকী চিত্র।

জীবন বিমায় প্রকল্প বন্ধ করার (সারেন্ডার) সময়ে কত টাকা পাওয়া যাবে, তা হিসাবের পরিবর্তিত নিয়ম চালু হয়েছে মঙ্গলবার থেকে। নতুন ব্যবস্থায় বিমা সংস্থাগুলিকে গ্রাহক পলিসি বন্ধ করলে দিতে হবে আগের তুলনায় বেশি টাকা। সংশ্লিষ্ট মহলের মতে, এর ফলে হয় বিমার প্রিমিয়াম বাড়াতে, নয়তো এজেন্টদের কমিশন কমাতে পারে সংস্থাগুলি। তবে প্রথমটি হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। সে ক্ষেত্রে সাধারণ মানুষের ঘাড়ে চাপতে পারে আরও বোঝা। ইতিমধ্যেই বহু মানুষ চড়া প্রিমিয়াম দিতে না পেরে পলিসি বন্ধ করছেন। আশঙ্কা, সেই পথে হাঁটতে পারেন আরও বেশি বিমাকারী।

সারেন্ডারের ক্ষেত্রে শর্তের ভিত্তিতে মেয়াদ শেষের আগে পলিসি বন্ধ করে টাকা তুলতে পারেন গ্রাহক। সাধারণ জীবন বিমায় প্রিমিয়ামের একাংশ দিয়ে গ্রাহকের জীবনের ঝুঁকির দিকটি সুরক্ষিত করা হয়। বাকি অংশ বাজারে লগ্নি করে আয় করে সংস্থা। সেই আয়ের একটা অংশ সারেন্ডারের সময়ে গ্রাহককে ফেরত দেয় তারা। এ ক্ষেত্রে গ্রাহক কত টাকা পাবেন, তারই নতুন নিয়ম চালু হয়েছে এ দিন থেকে।

সংশ্লিষ্ট মহলের মতে, নতুন নিয়মে সংস্থাগুলিকে পলিসি সারেন্ডারের ক্ষেত্রে আগের চেয়ে বেশি টাকা গুনতে হবে। কিছু জীবন বিমা সংস্থার কর্তার দাবি, বাড়তি খরচ সামলাতে বিমার প্রিমিয়াম বাড়াতে পারে তারা। নয়তো কমাতে পারে এজেন্টদের কমিশন।

এলআইসির বিপণন বিভাগের প্রাক্তন আঞ্চলিক কর্তা অরূপ দাশগুপ্ত জানান, আগে কমপক্ষে দু’বছর পলিসি চালানোর পরেই তা সারেন্ডার করা যেত। এখন এক বা দু’বছর পরে করা যাবে। এক বছর পরে করলে জমা প্রিমিয়ামের প্রায় ৬৩% ফেরত মিলবে। দু’বছরে পাওয়া যাবে প্রায় ৭২%। তিনি বলেন, “ক্ষতি মেটাতে সংস্থাগুলি প্রিমিয়াম বাড়াতে পারে। কেউ আবার বাড়াতে পারে বিমার ন্যূনতম অঙ্কও। তবে এজেন্টদের কমিশন কমানোর সম্ভাবনা কম।’’

প্রাইসওয়াটারহাউস কুপার্সের পার্টনার ও লিডার (বিমা বিষয়ক) অমিত রায় অবশ্য মনে করেন, “সব জীবন বিমার প্রিমিয়াম বাড়বে বলে মনে হয় না। এনডাওমেন্ট ও ইউলিপেরবাড়তে পারে। তবে শুধু জীবনের ঝুঁকি সুরক্ষতি করতে যে টার্ম পলিসি আছে, সেগুলির বাড়বে না। এজেন্টদের কমিশনের বিষয়টি সম্পূর্ণ ভাবে সংস্থার উপরেই নির্ভর করছে।’’

কমিশন কমলে আন্দোলনের হুমকি দিয়েছেন এজেন্টরা। লাইফ ইনশিয়োরেন্স এজেন্টস ফেডারেশন অব ইন্ডিয়ার সভাপতি শ্যামল চক্রবর্তী বলেন, “এমনিতেই কমিশন কমিয়েছে বিভিন্ন সংস্থা। ফের কমানো হলে আন্দোলনে নামব।’’

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

life insurance Insurance Policy

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy