কৃত্রিম উপগ্রহ ভিত্তিক ইন্টারনেট (স্যাট-নেট) পরিষেবা দিতে ভারতে একাধিক টেলিকম সংস্থার সঙ্গে জোট বেঁধেছে আমেরিকার সংস্থা, ইলন মাস্কের স্টারলিঙ্ক। এ বার তারা পরিষেবা দিতে সরকারের অনুমতি (লাইসেন্স) পেল। ফলে এ দেশে বণিজ্যিক ভাবে এই পরিষেবা দেওয়ার পথে এক ধাপ এগোল তারা। এর আগে ভারতী এয়ারটেলের অংশীদারি থাকা ইউটেলস্যাট ওয়ান-ওয়েব এবং মুকেশ অম্বানীর রিলায়্যান্স ইন্ডাস্ট্রিজ়ের যৌথ উদ্যোগ জিয়ো স্যাটেলাইট কমিউনিকেশন্স পরিষেবা দেওয়ার অনুমতি পেয়েছে। অপেক্ষায় রয়েছে অ্যামাজ়নের শাখা কুইপার।
এক মাস আগে স্টারলিঙ্ক-কে ইচ্ছাপত্র দিয়েছিল টেলিকম বিভাগ (ডট)। সূত্রের খবর, এর পরে সংস্থাটি আবেদন করার ১৫-২০ দিনের মাথায় স্পেকট্রাম পাবে। দীর্ঘ দিন ধরে ভারতে আসার কথা বললেও, আসেনি মাস্কের বৈদ্যুতিক গাড়ি সংস্থা টেস্লা। এরই মধ্যে চার বছর অপেক্ষার পরে পরিষেবার অনুমতি পেল স্টারলিঙ্ক। সংশ্লিষ্ট মহলের মতে, ঠিক যে সময়ে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বাদানুবাদে জড়িয়েছেন বিশ্বের ধনীতম ব্যক্তি মাস্ক, তখনই এই সায় তাৎপর্যপূর্ণ। এই ঘটনা নিছক কাকতালীয় কি না, উঠছে প্রশ্ন।
এ বার স্পেকট্রাম পাওয়ার পরে যোগাযোগ মন্ত্রক, প্রতিরক্ষা মন্ত্রক, মহাকাশ গবেষণা বিভাগ-সহ একাধিক জায়গা থেকে ছাড়পত্র পেতে হবে স্টারলিঙ্ককে। তার পরে পরিকাঠামো গড়ে পরিষেবা দিতে পারবে। আন্দাজ, পরিষেবা শুরু হতে বছর গড়াবে।
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)