রাজ্যের হাতে এখন ২১০ কোটি টন কয়লার ভাণ্ডার। তবে বিশেষজ্ঞদের দাবি, সব কিছু ঠিকঠাক চললে সেখান থেকে কয়লা তুলতে চার-পাঁচ বছর সময় লাগবে। তার আগে খনির আরও সমীক্ষা-সহ যে সব প্রশাসনিক প্রক্রিয়া রয়েছে, সেগুলি করতেই বেশ কয়েক বছর সময় লাগার কথা।
কোল ইন্ডিয়ার প্রাক্তন চেয়ারম্যান পার্থসারথি ভট্টাচার্য জানান, সাধারণত কেন্দ্র কোনও কয়লা ব্লক বরাদ্দ করার ৬৬ মাসের মধ্যে সেখান থেকে উত্তোলন শুরু হওয়ার কথা। তবে তার আগে অনেকগুলি ধাপ রয়েছে। জিয়োলজিক্যাল সার্ভে অব ইন্ডিয়ার করা ভূতাত্ত্বিক সমীক্ষায় কয়লার ভাণ্ডার সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়ার পরে এ বার রাজ্য বিদ্যুৎ উন্নয়ন নিগমকে (পিডিসিএল) পুরো প্রকল্পের রূপরেখা তৈরি করতে হবে। আরও কম ঘনত্বের এলাকায় আরও বেশি সংখ্যক গর্ত করে বিস্তারিত খননকাজ (এক্সপ্লোরেশন) চালিয়ে তার ভিত্তিতে মাইনিং প্ল্যান তৈরি করতে হবে। কোথা দিয়ে কয়লা তোলা হবে, কী প্রযুক্তি ব্যবহার হবে, সেগুলি সেই পরিকল্পনায় থাকবে। তার ভিত্তিতে প্রকল্পটি লাভজনক কি না, সেই তথ্য-সহ সম্ভাব্যতার সমীক্ষা (ফিজ়িবিলিটি স্টাডি) হবে। কয়লা তোলার আগে সব মিলিয়ে সেই সব প্রক্রিয়া করতে সময় লাগে সাধারণত বছর দু’য়েক। যে কোনও কয়লা খনি প্রকল্পই এ ভাবে ধাপে ধাপে এগোয় বলে তাঁর দাবি।
এর মধ্যে ধাপে ধাপে বিভিন্ন ছাড়পত্র পাওয়ার আবেদনও জানাতে হবে পিডিসিএলকে। পরিবেশ-সহ ২০টি ছাড়পত্র নিতে হবে তাদের। রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের চেয়ারম্যান কল্যাণ রুদ্র জানান, পরিবেশের ছাড়পত্র দেবে কেন্দ্র। তার পরে জেলা প্রশাসনের সঙ্গে সেখানে জনশুনানি করবে পর্ষদ।