ঘুরে দাঁড়ানোর লক্ষণ দেখা যাচ্ছে ভারতের অর্থনীতিতে। ধীরে হলেও বৃদ্ধির গতি বাড়ছে বলে দাবি করেছে সিআইআই অ্যাসকন সমীক্ষা। আচমকা ওঠা-পড়াও তেমন চোখে পড়ছে না। শিল্প ও পরিষেবা ক্ষেত্রকে নিয়ে করা সমীক্ষায় এই ইঙ্গিত মিলেছে বলে জানিয়েছে তারা।
চলতি আর্থিক বছরের প্রথম তিন মাস এপ্রিল থেকে জুনে এই সমীক্ষা চালিয়েছে সিআইআই অ্যাসোসিয়েশন্স কাউন্সিল (অ্যাসকন)। সংগঠনের চেয়ারম্যান নৌশদ ফোর্বস বলেন, ‘‘বিভিন্ন অঞ্চলের বণিকসভার প্রতিনিধিদের মতামতের ভিত্তিতে তৈরি এই সমীক্ষায় ধরা পড়েছে যে, গত বছরের একই সময়ের তুলনায় উৎপাদন বৃদ্ধির প্রবণতা কিছুটা ভাল।’’ এর পিছনে তিনি যে-সব কারণ চিহ্নিত করেছেন, তার মধ্যে রয়েছে:
সরকারের নীতি তৈরি ও রূপায়ণে ধারাবাহিকতা
ব্যবসার পরিবেশ নিয়ে শিল্পের আস্থা বাড়া
ক্রেতার আস্থা বৃদ্ধি।
সমীক্ষায় সামিল হয়েছিল বড় শিল্প ছাড়াও বেশ কিছু ছোট ও মাঝারি শিল্প। দেশে শিল্পোৎপাদনের ৭০ শতাংশের রাশই তাদের হাতে। নৌশদ জানান, ‘‘বিশেষ করে উল্লেখযোগ্য হল, ভবিষ্যৎ নিয়ে বেশির ভাগ ক্ষেত্রই আশাবাদী। সেই কারণেই বৃদ্ধির হার কমবে, এমন আশঙ্কা তারা করছে না বললেই চলে। এর ইতিবাচক প্রভাবই বদলে দিচ্ছে কল-কারখানায় উৎপাদনের বাস্তব ছবি। পরিষেবা ক্ষেত্রেও ধরা পড়েছে একই লক্ষণ।’’
৯৩ জনের উপর চালানো এই সমীক্ষায় ১৬.১ শতাংশই এপ্রিল থেকে জুনে, অর্থাৎ প্রথম ত্রৈমাসিকে শিল্পে ‘খুব ভাল’ বৃদ্ধি নিয়ে আশাবাদী। উৎপাদন, বিক্রি ও রফতানিকে ধরে তারা ২০ শতাংশ বৃদ্ধির পূর্বাভাস দিয়েছেন। আগের বছরে এত বেশি বৃদ্ধির ইঙ্গিত দেন মাত্র ৭.১ শতাংশ।
তবে সমীক্ষা সতর্ক করে দিয়ে বলেছে অর্থনীতির বৃদ্ধির পথে কাঁটা হয়ে দাঁড়াতে পারে: আমদানি পণ্যের সঙ্গে প্রতিযোগিতা, বিদ্যুৎ ঘাটতি, লাল ফিতের ফাঁস, করের বোঝা, দেশে ও রফতানির ক্ষেত্রে চাহিদার অভাব, দক্ষ কর্মীর ঘাটতি, ঋণ যথেষ্ট পরিমাণে না-পাওয়া এবং তার উপর বিপুল সুদের বোঝা।
তবে সমীক্ষার মন্তব্য, দেশে চাহিদা বাড়া ও আরও বেশি পুঁজি বিনিয়োগের হাতেই রয়েছে আর্থিক বৃদ্ধি ধরে রাখার চাবিকাঠি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy