Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪
দ্রুত জমি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি

এ বার রাজ্যের শিল্পপতিদের লগ্নির আহ্বান তামিলনাড়ুর

রাজস্থানের পরে তামিলনাড়ু। লগ্নি ও শিল্প সম্মেলনে ভিড় টানতে কলকাতায় এসেছিলেন রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী বসুন্ধরা রাজে। তাঁর দু’দিনের সফরের পরের দিনই শহরে হাজির তামিলনাড়ু সরকারের প্রতিনিধিদল। সেপ্টেম্বরে চেন্নাইয়ে যে-শিল্প সম্মেলন হবে, তাতে যোগ দেওয়া ও সে রাজ্যে লগ্নির জন্য এ রাজ্যের শিল্পপতিদের টানতে এসেছিলেন তামিল -নাড়ুর শিল্প সচিব সি ভি শঙ্কর ও তথ্যপ্রযুক্তি শিল্প সচিব টি কে রামচন্দ্রন।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৪ এপ্রিল ২০১৫ ০৩:৪৩
Share: Save:

রাজস্থানের পরে তামিলনাড়ু। লগ্নি ও শিল্প সম্মেলনে ভিড় টানতে কলকাতায় এসেছিলেন রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী বসুন্ধরা রাজে। তাঁর দু’দিনের সফরের পরের দিনই শহরে হাজির তামিলনাড়ু সরকারের প্রতিনিধিদল। সেপ্টেম্বরে চেন্নাইয়ে যে-শিল্প সম্মেলন হবে, তাতে যোগ দেওয়া ও সে রাজ্যে লগ্নির জন্য এ রাজ্যের শিল্পপতিদের টানতে এসেছিলেন তামিল -নাড়ুর শিল্প সচিব সি ভি শঙ্কর ও তথ্যপ্রযুক্তি শিল্প সচিব টি কে রামচন্দ্রন।

লক্ষ্য এক হলেও পদ্ধতি অবশ্য ভিন্ন। বসুন্ধরা রাজের পুঁজি ছিল আবেগ। শিকড়ের টানে আস্থা রেখে তিনি এ রাজ্যের মারোয়াড়ি শিল্পপতিদের ঘরে ফেরার ডাক দেন। তামিলনাড়ু সরাসরি কর্পোরেট কায়দায় রাজ্যের গুণাবলি তুলে ধরেছে। এবং সেই সব সুবিধার কথাই বেশি করে তুলে ধরেছে, যা এ রাজ্যে কম বা নেই। বৃহস্পতিবার ফিকির পূর্বাঞ্চলীয় শাখা আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে তামিলনাড়ুর শিল্প সচিব সি ভি শঙ্কর স্পষ্ট জানান, শিল্পের জন্য জমি দিতে অসুবিধা নেই তাঁর সরকারের। তিনি বলেন, ‘‘কৃষি জমি নয়, অব্যবহৃত জমি রয়েছে। সেখানে শিল্প গড়তে সময় নষ্ট হবে না।’’ তাঁর দাবি, দেশে বিশেষ আর্থিক অঞ্চলের (সেজ) সংখ্যা তামিলনাড়ুতেই সর্বাধিক। ২৬টি চালু সেজ রয়েছে। জমির দামও আকাশছোঁয়া নয়।

অন্য দিকে, সেজ ও শিল্পের জন্য জমি দেওয়া নিয়ে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের অবস্থান শিল্প-সহায়ক নয় বলে অভিযোগ। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়ে দিয়েছেন, সরকার শিল্পের জন্য জমি অধিগ্রহণ করবে না। লগ্নিকারীদেরই জমি কিনতে হবে। সেজেরও বিরোধী তাঁরা। সেজ তকমা না-দেওয়ায় এ রাজ্যে ইনফোসিসের লগ্নি এখনও মাঝপথে আটকে।

অন্য দিকে সার্বিক শিল্প নীতির পাশাপাশি তামিলনাড়ু তৈরি করেছে এক একটি ক্ষেত্রের জন্য বিশেষ নীতি। যেমন, গাড়ির জন্য ‘অটো’ নীতি এনেছে তারা। আর এই শিল্প সহায়ক নীতির কারণেই রাজ্যে তিন হাজারের বেশি বহুজাতিক সংস্থা বিনিয়োগ করেছে বলে দাবি জয়ললিতা সরকারের প্রতিনিধিদের।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE