জিএসটি-তে কোনও মাসে বা ত্রৈমাসিকে কর জমার আগে বিক্রি সংক্রান্ত রিটার্ন ফের খতিয়ে দেখে তথ্য বদলের সুযোগ পাবেন করদাতারা। শনিবার জিএসটি পরিষদের বৈঠকে এই প্রস্তাব গৃহীত হয়েছে। এতে ব্যবসায়ীরা বিক্রি সংক্রান্ত কোনও তথ্য জিএসটিআর-১ ফর্মে জানাতে ভুলে গিয়ে থাকলে কিংবা তথ্যে ভুল করে থাকলে, তা সংশোধন করে জমা দেওয়া যাবে জিএসটিআর-১এ ফর্ম।
এ দিকে, রাজ্যগুলিকে জিএসটি ক্ষতিপূরণ দিতে কেন্দ্রের বিলাসবহুল, ক্ষতিকারক পণ্যগুলিতে সেস সংগ্রহ অব্যাহত রাখা ও ক্ষতিপূরণের টাকা মেটাতে কেন্দ্রের নেওয়া ধার শোধের বিষয়টি বৈঠকে তুলেছিল কর্নাটক। সেই প্রেক্ষিতে রবিবার এক সরকারি কর্তার দাবি, ক্ষতিপূরণ দিতে কেন্দ্র যে ২.৬৯ লক্ষ কোটি টাকা ধার নিয়েছিল, তা সময়ের আগে শোধ হতে পারে। ২০১৭-এ জিএসটি চালুর পরের পাঁচ বছর রাজ্যগুলিকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা ছিল কেন্দ্রের। সে জন্য সেস বসে। করোনায় আয় কমায় ২০২০-২১ ও ২০২১-২২ সালের ক্ষতিপূরণ দিতে ধার করতে হয় কেন্দ্রকে। তাই বাড়ানো হয় সেস-এর মেয়াদ। কেন্দ্রের অনুমান ছিল, ২০২৬-এর মার্চে ধার শোধ হবে। কিন্তু ওই কর্তার কথায়, যে হারে সেস এসেছে, তাতে ২০২৫-এর নভেম্বরের মধ্যে ঋণ শোধ হওয়ার আশা। সে ক্ষেত্রে অগস্টে পরিষদের বৈঠকে সেস-এর ভবিষ্যৎ নিয়ে কথা হবে।
বৈঠকে কেরলের অর্থমন্ত্রী কে এনবালগোপাল রাজ্যগুলিকে জিএসটি বাবদ আদায় হওয়া অর্থের ৬০% দেওয়ার দাবি করেছেন। এখন কেন্দ্র ও রাজ্য ৫০% করে পায়। তাঁর মতে, সেই হার বাড়ানো দরকার।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)