কর্মীদের বেতনে এ বার বড় বদল করছে টাটা কনসালটেন্সি সার্ভিসেস বা টিসিএস। চলতি বছরের এপ্রিল থেকে জুন ত্রৈমাসিকে ৭০ শতাংশের বেশি কর্মচারীকে ১০০ শতাংশ পরিবর্তনশীল ভাতার (পড়ুন ভ্যারিয়েবল পে) আওতায় আনার কথা ঘোষণা করেছে দেশের অন্যতম বড় এই তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থা। বাকিদের ক্ষেত্রে নিজ নিজ ব্যবসায়িক ইউনিটে কর্মদক্ষতার উপরে ভিত্তি করে ভাতা নির্ধারণ করা হবে বলে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।
সম্প্রতি ইমেল মারফত বেতনের ভাতা সংক্রান্ত এই সিদ্ধান্তের কথা কর্মীদের জানিয়ে দেন টিসিএসের মুখ্য মানব সম্পদ আধিকারিক মিলিন্দ লাক্কাদ। সূত্রের খবর, সেখানে বলা হয়েছে, ‘‘ত্রৈমাসিক পরিবর্তনশীল ভাতা বা কিউভিএ-র (কোয়ার্টারলি ভ্যারিয়েবল অ্যালাউন্স) আওতাভুক্ত সি২ বা সমমানের সমস্ত কর্মীরা ১০০ শতাংশ হারে পাবেন ওই ভাতা। কিন্তু, সি৩ গ্রেড এবং তার উপরের বেতনপ্রাপ্তদের ক্ষেত্রে পৃথক ভাবে ভাতা দেওয়ার বিষয়টি ব্যবসায়িক কর্মদক্ষতার উপর নির্ভর করে বদল হতে পারে।’’
আরও পড়ুন:
গ্রেড অনুযায়ী টিসিএসের কর্মীদের একাধিক শ্রেণিবিভাগ রয়েছে। দেশের অন্যতম বড় তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থায় সর্বনিম্ন স্তরে আছেন প্রশিক্ষণপ্রাপ্তেরা। এরা ওয়াই শ্রেণির অন্তর্ভুক্ত। এর পর উপরের দিকে রয়েছেন যথাক্রমে সি১, সি২, সি৩ (এ ও বি), সি৪ এবং সি৫ গ্রেডের কর্মীরা। সি১ স্তরে মূলত সিস্টেম ইঞ্জিনিয়ারদের রেখেছে টিসিএস। একদম উপরের দিকে থাকেন সিনিয়র ম্যানেজমেন্ট স্তরের আধিকারিকেরা। সি৩ এবং তার উপরের দিকের কর্মীদের সিনিয়র কর্মচারী হিসাবে বিবেচনা করা হয়।
সূত্রের খবর, এ বছর কর্মীদের ত্রৈমাসিক পরিবর্তনশীল ভাতার কথা ঘোষণা করলেও বার্ষিক বেতন বাড়ানোর ব্যাপারে এখনও কোনও উচ্চবাচ্য করেনি টিসিএস। সাম্প্রতিক সময়ে নানা চ্যালেঞ্জের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে দেশের অন্যতম বড় এই তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থা। শুধু তা-ই নয়, শেষ তিনটি ত্রৈমাসিকে ডলারে অস্থিরতা থাকায় টিসিএসের রাজস্বের উপর প্রভাব পড়েছে বলে জানা গিয়েছে।
আরও পড়ুন:
২০২৫-’২৬ আর্থিক বছরের প্রথম ত্রৈমাসিকে (পড়ুন এপ্রিল থেকে জুন) টাটা গোষ্ঠীর তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থাটিতে চাকরি পেয়েছেন ৫,০৬০ জন। ফলে টিসিএসের মোট কর্মীসংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৬ লক্ষ ১৩ হাজার। এই সময়সীমার মধ্যে সংস্থার পারফরম্যান্স নিয়ে মন্তব্য করেছেন সিইও কে কৃত্তিবাসন। তিনি বলেছেন, ‘‘কিছু ক্ষেত্রে সিদ্ধান্ত নিতে এবং প্রকল্পের কাজ শুরু করতে দেরি হয়েছে। বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে ভূ-রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব, রাজনৈতিক অস্থিরতা, অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তা এবং সরবরাহ শৃঙ্খলে ব্যাঘাত ঘটায় প্রথম প্রান্তিকের ফলাফল একেবারেই আশানুরূপ হয়নি।’’