ফাইল চিত্র।
দামে স্বচ্ছতা আনতে বিভিন্ন বাগানের চায়ের অন্তত অর্ধেকটা নিলাম মারফত বিক্রিতে জোর দেয় টি বোর্ড। কিন্তু ভৌগলিক স্বীকৃতির (জিআই) তকমা পাওয়া দার্জিলিং চা এখনও অর্ধেকেরও বেশি নিলামের পরিবর্তে সরাসরি ক্রেতাকে বেচে বাগানগুলি। এ বার শ্রীলঙ্কার চায়ের মতো দার্জিলিঙের পুরো চা-ই নিলামে বিক্রির ব্যবস্থা করতে চাইছে বোর্ড। কালী পুজোর পরে এ নিয়ে তাঁরা দার্জিলিং টি অ্যাসোসিয়েশনের (ডিটিএ) সঙ্গে বৈঠকে বসবেন বলে বুধবার জানিয়েছেন বোর্ডের ডেপুটি চেয়ারম্যান অরুণ কুমার রায়।
রফতানি বাজারে দার্জিলিং চায়ের কদর আলাদা। তার উপরে জিআই তকমা থাকায় চাহিদা আরও বেড়েছে। কিন্তু বোর্ড ও চা শিল্প সূত্রের খবর, কিছু ক্ষেত্রে প্রতিবেশী দেশের চা তার সঙ্গে মিশিয়ে বাজারে বিক্রির অভিযোগ উঠেছে। এমনকি অন্য বাগানের চা-কে আলাদা ভাবে দার্জিলিং চা বলে চালিয়ে দেওয়ার নালিশও এসেছে নানা মহল থেকে। যা আসল দার্জিলিং চায়ের সুনাম নষ্ট করতে পারে বলে আশঙ্কা। বোর্ডের দাবি, তা এড়াতেই ওই চায়ের পুরোটা নিলামে বিক্রি করতে চাইছে তারা। তাদের যুক্তি, এই পথে দার্জিলিং চায়ের দামে ক্ষেত্রেও স্বচ্ছতা আনা যাবে।
বোর্ডের প্রস্তাব না দেখে অবশ্য এ নিয়ে কথা বলতে নারাজ ডিটিএ-র প্রেসিডেন্ট বিনোদ মোহন। তবে তাঁর বক্তব্য, চাহিদা অনুযায়ী তাঁদের চা দ্রুত বাজারে না পৌঁছলে ব্যবসা হারাতে হয়। অথচ সরাসরি বিক্রি করলে চা যেখানে তৈরির দিন দশেকের মধ্যে বাজারে ঢুকতে পারে, সেখানে নিলাম ব্যবস্থায় লেগে যায় তিন-চার সপ্তাহ।
এ দিকে, ভর্তুকির উপর চা শিল্পের নির্ভরতা কমাতে তাদের নানা ভাবে সাহায্য করতে কোমর বাঁধছে টি বোর্ড। সেই সূত্রে একগুচ্ছ ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে জানান অরুণবাবু। যেমন, ক্ষুদ্র চা চাষিদের জন্য বছরে ৬,০০০ টাকার আর্থিক সাহায্য ও পেনশন, এই দুই কেন্দ্রীয় প্রকল্প চালু করা। চা পর্যটনে জোর দেওয়া। যে লক্ষ্যে অসম-সহ উত্তর-পূর্বাঞ্চলের আট রাজ্যে আপাতত ৩৭টি বাগানে নীতি আয়োগ তিন বছরে ২৫৬ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy