প্রতীকী ছবি।
এ বার ইয়াস টেলি-পরিষেবায় কতটা ভয়ঙ্কর প্রভাব ফেলবে, তা নিয়ে চর্চা ছিল কলকাতা-সহ সংলগ্ন জেলাগুলিতে। বুধবার ওড়িশায় ঘূর্ণিঝড়টি আছড়ে পড়ার পরে কলকাতা-সহ কয়েকটি জেলায় পরিষেবা, বিশেষ করে মোবাইল সংযোগ কিছুটা ব্যাহত হয়। সংশ্লিষ্ট সূত্রের খবর, আগাম সতর্কতা হিসেবে রাজ্য বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থার এলাকায় বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করায় বহু টাওয়ার ও এক্সচেঞ্জ বসে যায়। এই পরিস্থিতিতে টেলিকম ও পরিকাঠামো সংস্থাগুলির সঙ্গে বৈঠকের পরে ওড়িশার সাতটি জেলা ও পশ্চিমবঙ্গের পাঁচ জেলায় ইন্ট্রা সার্কল রোমিং (আইসিআর) বুধবার রাত ১২টা থেকে ২৪ ঘণ্টার জন্য চালু করার অনুমতি দেন টেলিকম সচিব অংশু প্রকাশ।
কেন্দ্রীয় টেলিকম দফতর (ডট) এ দিন সংস্থাগুলিকে পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, বাঁকুড়া, দক্ষিণ ২৪ পরগনা ও ঝাড়গ্রামে আইসিআর চালুর অনুমতি দেয়। এই ব্যবস্থায় কোনও সংস্থার নিজস্ব নেটওয়ার্ক বা পরিকাঠামো বসে গেলে অন্যেরটি তারা নিখরচায় ব্যবহার করতে পারে। ডট সূত্রের খবর, সরকারি-বেসরকারি টেলিকম সংস্থাগুলির প্রায় ৫% টাওয়ার বসে গিয়েছে বলেই আইসিআরের অনুমতি দেওয়া হয়।
উল্লেখ্য, বিদ্যুৎ বিপর্যয় বা ঝড়ের জন্য সব টেলিকম সংস্থাই কিছু আগাম ব্যবস্থা নিয়েছিল। তবে তাদের দাবি, তা যেমন সর্বত্র করা যায় না, তেমনই কোথাও দীর্ঘক্ষণ বিদ্যুৎ না-থাকলে বিকল্প ব্যবস্থার দিয়েও পরিষেবা চলে না। এ দিন ঝড়, বৃষ্টি ও জোয়ারের জন্য বহু এলাকা প্লাবিত হওয়ায় বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়।
ক্যালকাটা টেলিফোন্সের সিজিএম বিশ্বজিৎ পাল বলেন, ‘‘বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ায় কলকাতা, হুগলি, হাওড়া, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, নদিয়ায় আমাদের প্রায় ৭০টি টাওয়ার বুধবার দুপুর থেকে একে একে বসে যায়। পরে সন্ধ্যায় তা কমে হয় ৪৫টি। এ ছাড়া পাঁচটি এক্সচেঞ্জ-ও বসে গিয়েছিল।’’ বিএসএনএলের (ওয়েস্ট বেঙ্গল সার্কল) সিজিএম তমাল মৈত্র এ দিন জানান, তাঁদের এলাকায় একই ভাবে প্রায় ২৫০টি টাওয়ার বসে গিয়েছে। তবে দু’জনেরই দাবি, পরে অনেক জায়গাতেই বিদ্যুৎ আসে। আজ থেকে পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হবে বলে তাঁদের আশা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy