Advertisement
E-Paper

কল কাটার সমস্যা বুঝতে সমীক্ষা রাজ্যে

মোবাইল ফোনে কল কেটে যাওয়ার সমস্যা নিয়ে টেলিকম দফতরকে বিশেষ সমীক্ষা করার নির্দেশ দিয়েছিলেন সংশ্লিষ্ট মন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ। এ বার কোথায় কোথায় ‘কল ড্রপ’ সমস্যা সবচেয়ে বেশি, তা খতিয়ে দেখতে কলকাতা-সহ এ রাজ্যের নানা জায়গায় আগামী সপ্তাহেই সরেজমিনে সমীক্ষা শুরু করবে টেলিকম দফতরের শাখা টেলিকম এনফোর্সমেন্ট রিসোর্স অ্যান্ড মনিটরিং (টার্ম) সেল।

দেবপ্রিয় সেনগুপ্ত

শেষ আপডেট: ৩১ জুলাই ২০১৫ ০৩:১৪

মোবাইল ফোনে কল কেটে যাওয়ার সমস্যা নিয়ে টেলিকম দফতরকে বিশেষ সমীক্ষা করার নির্দেশ দিয়েছিলেন সংশ্লিষ্ট মন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ। এ বার কোথায় কোথায় ‘কল ড্রপ’ সমস্যা সবচেয়ে বেশি, তা খতিয়ে দেখতে কলকাতা-সহ এ রাজ্যের নানা জায়গায় আগামী সপ্তাহেই সরেজমিনে সমীক্ষা শুরু করবে টেলিকম দফতরের শাখা টেলিকম এনফোর্সমেন্ট রিসোর্স অ্যান্ড মনিটরিং (টার্ম) সেল। ইতিমধ্যেই টেলি সংস্থাগুলির তথ্যভাণ্ডার খতিয়ে দেখার কাজ শুরু করে দিয়েছে তারা।

এত দিন পরিষেবার মাপকাঠি নির্ধারণ ছাড়াও টেলিকম সংস্থাগুলি তা কতটা মেনে চলছে, তাতে নজরদারি করত নিয়ন্ত্রক সংস্থা ট্রাই। সংশ্লিষ্ট সূত্রের খবর, পরিষেবার মান খতিয়ে দেখতে ট্রাই সমীক্ষা চালাত বেসরকারি সংস্থাকে দিয়ে। তবে ফোনে কথা বলার সময়ে বারবার কল কেটে যাওয়া নিয়ে এখন গোটা দেশেই ক্ষোভ জমা হয়েছে। টেলিকম মন্ত্রী প্রসাদও বিরক্তি চেপে রাখেননি। তাই ট্রাইয়ের বদলে টার্ম সেল-কেই সমীক্ষার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। ১৫ অগস্টের মধ্যে টার্ম সেল-কে সেই সমীক্ষার রিপোর্ট পাঠাতে হবে।

প্রসঙ্গত, পরিষেবার মান খারাপ হওয়া নিয়ে কেন্দ্র ও টেলিকম শিল্পের মধ্যে চাপান উতোর চলছেই। গ্রাহকদের সুরেই কেন্দ্রের অভিযোগ, সুষ্ঠু পরিষেবার জন্য পরিকাঠামোয় যতটা গুরুত্ব দেওয়া উচিত, টেলি সংস্থাগুলি তা দিচ্ছে না। আবার ওই শিল্পের পাল্টা অভিযোগ, প্রয়োজনের চেয়ে কেন্দ্র কম স্পেকট্রাম বরাদ্দ করেছে। উপরন্তু বিকিরণ থেকে ক্যানসারের ভয়ে টাওয়ার নির্মাণে আপত্তি জানাচ্ছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তাই পরিকাঠামো গড়া যাচ্ছে না।

এ রাজ্যে কলকাতা ও পশ্চিমবঙ্গ, দুটি টার্ম সেল রয়েছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে খবর, টেলি সংস্থাগুলির থেকে ফোনের পরিষেবা ও কল-ড্রপ সংক্রান্ত তথ্য নিয়ে বিশ্লেষণ করে দেখছে তারা। কোথায় বেশি কল-ড্রপ হচ্ছে তা চিহ্নিত করছে। তথ্য বিশ্লেষণের পরে সেই সব জায়গা সরেজমিনে ঘুরে সমীক্ষা চালানো হবে। তবে বন্যা ও প্রাকৃতিক দুর্যোগে সব জায়গায় সমীক্ষা চালানো নিয়ে সংশয়ও রয়েছে। যদিও টার্ম সেল-এর দাবি, বিস্তীর্ণ এলাকাতেই চলবে এই সমীক্ষা।

টেলি সংস্থাগুলির অবশ্য দাবি, টাওয়ারের বিকিরণ মাত্রার জেরে ক্যানসারের ভয় ও নিরাপত্তার কারণেও বহু জায়গায় টাওয়ার বসানো যাচ্ছে না। অথচ গ্রাহক বাড়ছে। তবে টাওয়ার-সহ সংস্থাগুলির চালু পরিকাঠামো রক্ষণা- বেক্ষণ নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে, যার অভাবে ব্যাহত হচ্ছে পরিষেবা। সমীক্ষায় সবই খতিয়ে দেখবেন টার্ম সেলের কর্তারা।

debapriyo sengupta term telecom department call dropping call drop telecom enforcement resource and monitoring
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy