Advertisement
০২ মে ২০২৪
Tesla

টেসলাকে সুবিধা নয়, বার্তা শিল্পের

যে কোনও ক্ষেত্রেই বিনিয়োগকারীরা দীর্ঘমেয়াদি নীতির পক্ষে সওয়াল করেন। কারণ, মাঝপথে নীতির অভিমুখ বদলে গেলে লগ্নির ব্যবসায়িক সম্ভাবনা ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।

An image of Tesla

ইলন মাস্কের সংস্থা টেসলা। —ফাইল চিত্র।

সংবাদ সংস্থা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১১ ডিসেম্বর ২০২৩ ০৯:৪৭
Share: Save:

কিছু দিন গাড়ির আমদানি শুল্কে ছাড় পেলে তার পরে ভারতে বৈদ্যুতিক গাড়ির কারখানা গড়বে বলে ইঙ্গিত দিয়েছে ইলন মাস্কের সংস্থা টেসলা। কেন্দ্র সে ব্যাপারে ভাবনাচিন্তাও করছে বলে জল্পনা। কিন্তু একটি সংস্থাকে পৃথক সুবিধা দিলে ভারতে ইতিমধ্যে ব্যবসা চালানো অন্যান্য সংস্থার কাছে ঠিক বার্তা যাবে না বলেও ইঙ্গিত রয়েছে। এ বার বণিকসভা ফিকি-র বৈদ্যুতিক গাড়ি কমিটির চেয়ারপার্সন তথা এই ব্যবসায় যুক্ত সুলজ্জা ফিরোদিয়া মোতওয়ানি বিষয়টি নিয়ে তাঁদের আপত্তির কথা স্পষ্ট ভাবে জানালেন। তাঁর বক্তব্য, নীতির ধারাবাহিকতা জরুরি। নির্দিষ্ট একটি সংস্থার জন্য নীতি বদলে কেন্দ্রের ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ কর্মসূচিকে লঘু করা উচিত নয়।

যে কোনও ক্ষেত্রেই বিনিয়োগকারীরা দীর্ঘমেয়াদি নীতির পক্ষে সওয়াল করেন। কারণ, মাঝপথে নীতির অভিমুখ বদলে গেলে লগ্নির ব্যবসায়িক সম্ভাবনা ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। সেই সূত্রেই সুলজ্জার দাবি, ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ কর্মসূচিতে স্থানীয় উৎপাদনে লগ্নি শুরু হচ্ছে। তিনি বলেন, ‘‘ওই নীতিতে কোনও পরিবর্তন করা ঠিক নয়।’’

এ দেশে লগ্নির ক্ষেত্রে টেসলার কি কোনও নীতিগত সহায়তা জরুরি? মোতওয়ানি বলেন, ‘‘আমি টেসলা বা অন্য কোনও নতুন সংস্থার এ দেশে পা রাখার ক্ষেত্রে প্রস্তাবের বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানি না। তবে নীতি ধারাবাহিক হওয়াই উচিত। এমন হওয়া উচিত নয় যে, এক দিন বলা হল মেক ইন্ডিয়া নীতি জরুরি। তার পরে বলা হল এখন শুল্ক কমিয়ে দেওয়া হল।’’ সেই সঙ্গে তাঁর বক্তব্য, বৈদ্যুতিক গাড়িতে ভর্তুকি চালিয়ে যাওয়া জরুরি। পাশাপাশি, ২০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ব্যক্তিগত যাত্রিবাহী গাড়ির ক্ষেত্রেও ‘ফেম’ প্রকল্পে ভর্তুকির সুবিধা চালু করা দরকার।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Tesla Elon Musk India
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE