—প্রতীকী ছবি।
একটা সময়ে যা কার্যত ছিল অসম্ভব, তা এখন কিছুটা হলেও সাবলীল। গাড়ি তৈরির কারখানায় বাড়ছে মহিলা কর্মীর সংখ্যা। আর সেটা হচ্ছে দেশীয় সংস্থাগুলির উদ্যোগে। তবে সংশ্লিষ্ট মহল মানছে, কারখানায় ভারী যন্ত্রপাতির সাহায্যে উৎপাদন প্রক্রিয়ায় মহিলাদের যোগ দেওয়া নিয়ে এখনও দ্বিধা পুরো কাটেনি। তার উপর নিরাপত্তা এবং স্বাচ্ছন্দ্যও অনেক জায়গায় বড় প্রশ্ন। নিয়োগের ক্ষেত্রে এ সবের প্রভাব পড়ে।
টাটা মোটরস, মহিন্দ্রা অ্যান্ড মহিন্দ্রা, অশোক লেল্যান্ড এবং হিরো মোটোকর্প জানাচ্ছে, প্রত্যেক বছর তাঁদের কারখানায় নতুন কর্মীদের উল্লেখযোগ্য অংশ মহিলা। ঝালাই, যন্ত্রাংশ জোড়া থেকে রোবটিক্স-সহ সমস্ত ক্ষেত্রেই রয়েছেন তাঁরা। তৈরি করছেন দু’চাকা, চার চাকা, এসইউভি, বাণিজ্যিক গাড়ি। টাটা মোটরসের মানবসম্পদ বিভাগের প্রধান রবীন্দ্র কুমার জিপি জানান, দেশে তাঁদের ছ’টি কারখানায় প্রায় ৪৫০০ মহিলা। নতুন নিযুক্তদের মধ্যে প্রায় ২৫%। আর পুণের পুরো কারখানাটাই মহিলারা চালান। গত এক বছরে মহিন্দ্রা অ্যান্ড মহিন্দ্রার কারখানায় মহিলা কর্মী তিন গুণ বেড়ে ১২০২ হয়েছে, দাবি সংস্থার মানবসম্পদ বিভাগের প্রধান রাজেশ্বর ত্রিপাঠীর। তাঁরা ২৫টিরও বেশি আইটিআই থেকে কর্মী নিয়োগ করেন। যেগুলির মধ্যে কয়েকটি মহিলা আইটিআই। বাণিজ্যিক গাড়ি সংস্থা অশোক লেল্যান্ডের সাতটি কারখানায় ৯৯১ জন মহিলা। একটি পুরোপুরি মহিলা চালিত। বিশ্বের বৃহত্তম দু’চাকা গাড়ি সংস্থা হিরো মোটোকর্প জানিয়েছে, তাদের কারখানায় এই সংখ্যা ১৫০০ জন।
তবে উন্নতির দাবি করেও সংশ্লিষ্ট মহল স্বীকার করছে, কারখানায় মহিলাদের এই যোগদান যথেষ্ট নয়। ত্রিপাঠীর দাবি, সংস্থা নীতি বদলানোর চেষ্টা করছে। কিন্তু সামাজিক এবং পারিবারিক চাপ বহু মহিলার কারখানায় কাজের পথে বাধা। একাংশের দাবি, এ জন্য আগে কল-কারখানায় কাজের পরিবেশ বদলানো জরুরি। বিশেষজ্ঞদের মতে, শুধু মহিলা কর্মী নিলে হবে না। তাঁদের নিরাপত্তা এবং স্বাচ্ছন্দ্য নিশ্চিত করা প্রয়োজন। তখন নিয়োগ বাড়বে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy