—প্রতীকী চিত্র।
অতিমারির আবহে চড়া মূল্যবৃদ্ধিতে লাগাম পরাতে টানা ৫২৫ বেসিস পয়েন্ট সুদের হার বাড়িয়েছিল আমেরিকা। কিছুটা রাশ পড়লেও, এখনও তা শীর্ষ ব্যাঙ্ক ফেডারাল রিজার্ভের ২ শতাংশের লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি। তবে এ বছরে ফেড সুদ কমাতে পারে বলে ইঙ্গিত দিয়েছে। এরই মধ্যে কিছুটা অপ্রত্যাশিত ভাবে গত মাসে সেখানে মাথা নামাল উৎপাদন-মূল্য সূচক (উৎপাদনকারীরা দেশের বাজারে পণ্যের যে দাম পান বা পিপিআই)। যা খুচরো মূল্যবৃদ্ধিতে এবং তার জেরে সুদের সিদ্ধান্তে প্রভাব ফেলবে কি না, সে নিয়ে শুরু হয়েছে চর্চা। তবে অর্থনীতিবিদদের একাংশের মতে, এখনই সে কথা বলার সময় আসেনি।
ভূ-রাজনৈতিক অস্থিরতার মধ্যে বিশ্ব জুড়ে বড় চ্যালেঞ্জ তৈরি করেছে মূল্যবৃদ্ধি। আমেরিকার অর্থনীতি বিশ্বের অন্যান্য প্রান্তেও প্রভাব ফেলে। তার উপরে নির্ভর করে শেয়ার বাজারের ওঠাপড়া। তাই ভারত-সহ সব দেশই নিজেদের অর্থনীতি ও মূল্যবৃদ্ধির পরিস্থিতির পাশাপাশি নজর রাখে ওয়াশিংটনের দিকে। আমেরিকার শ্রম দফতরের হিসাব বলছে, সেখানে বছরের নিরিখে বাড়লেও নভেম্বরের চেয়ে গত মাসে ০.১% কমেছে পিপিআই। পণ্যের দামে যে দুর্বলতা রয়েছে, সেটাও স্পষ্ট। তবে গত মাসেই খুচরো মূল্যবৃদ্ধি নভেম্বরের চেয়ে ০.৩% ও ২০২২-এর ওই সময়ের তুলনায় ৩.৪% বেড়েছে।
আইআইএম-কলকাতার অর্থনীতির অধ্যাপক পার্থ পালের বক্তব্য, উৎপাদন-মূল্য সূচক কমা আমেরিকার অর্থনীতিতে চাহিদা কমার ইঙ্গিত হতে পারে। কিন্তু মূল্যবৃদ্ধির সার্বিক ছবি শুধু এই হিসাব দিয়েই বিচার করা যাবে না। দেশটির অর্থনীতির বড় অংশ পরিষেবা ক্ষেত্রের উপরে নির্ভরশীল। ফলে সে কথাও খেয়াল রাখতে হবে। তা ছাড়া ফেড খুচরো মূল্যবৃদ্ধির ভিত্তিতেই সুদ স্থির করে। কিন্তু ওই হার এখনও লক্ষ্যের চেয়ে অনেকটা বেশি। আর সেই কারণেই অদূর ভবিষ্যতে মূল্যবৃদ্ধি কতটা স্থিতিশীল হচ্ছে, তার দিকে চোখ রেখে ফেড সুদ কমানোর সময়ের বিষয়টি স্থির করবে, মত ইনস্টিটিউট অব ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ়ের ভাইস চেয়ারম্যান পিনাকী চক্রবর্তীর।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy