Advertisement
E-Paper

ভোটের ‘রাস্তায়’ নজর রেখে জোর পরিকাঠামোয়

রাজ্যের তিন নদী অববাহিকা, ৩৯টি উপ অববাহিকা এবং জলাভূমিগুলির সংযোগ স্থাপনের মাধ্যমে নদীর পুনরুজ্জীবনের উদ্দেশ্যে ‘নদী বন্ধন’ প্রকল্পের প্রস্তাব করেছে রাজ্য।

বাজেট নথি অনুযায়ী, গ্রামাঞ্চলের রাস্তাঘাটের উন্নয়নে বরাদ্দ রাখা হয়েছে ১৫০০ কোটি টাকা।

বাজেট নথি অনুযায়ী, গ্রামাঞ্চলের রাস্তাঘাটের উন্নয়নে বরাদ্দ রাখা হয়েছে ১৫০০ কোটি টাকা। — প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।

শুভদীপ গুপ্ত

শেষ আপডেট: ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ০৯:৩৮
Share
Save

আগামী বছরের বিধানসভা নির্বাচনের আগে এটিই ছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের শেষ পূর্ণাঙ্গ বাজেট। ফলে সংশ্লিষ্ট মহলের আগ্রহ ছিল, সামাজিক প্রকল্পের পাশাপাশি স্থায়ী সম্পদ তৈরিতে রাজ্য কতটা জোর দেয়। অর্থনীতির সেই রাস্তা এড়িয়ে যায়নি সরকার। জোর বেড়েছে রাস্তা, সেতু, বাড়ি-সহ বিভিন্ন পরিকাঠামোয়। বিশেষত গ্রামাঞ্চলে। যেখানকার ভোট উপর্যুপরি নির্বাচনে জিতিয়ে আসছে তৃণমূলকে। বুধবার বিধানসভায় অর্থ দফতরের স্বাধীন ভারপ্রাপ্ত মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যের বাজেট পেশের পরে সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী স্পষ্ট করে দেন, পরিকাঠামো উন্নয়নের মাধ্যমেই কর্মসংস্থান বাড়ানোর কৌশল নিয়েছেন তিনি।

এ দিনের বাজেটে পরিকাঠামোর সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত বিভিন্ন খাতের মধ্যে উল্লেখযোগ্য রকম গুরুত্ব পেয়েছে গ্রামীণ যোগাযোগ এবং নদী ভাঙন রোধ। বাজেট নথি অনুযায়ী, গ্রামাঞ্চলের রাস্তাঘাটের উন্নয়নে বরাদ্দ রাখা হয়েছে ১৫০০ কোটি টাকা। রাজ্য সরকারের দাবি, এর মাধ্যমে গোটা রাজ্যে আর্থিক কর্মকাণ্ডের গতি বাড়বে। গঙ্গা সাগরের সঙ্গে মূল ভূখণ্ডের যোগাযোগ স্থাপনের জন্য এ দিন চার লেনের ৪.৭৫ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের সেতু নির্মাণের কথা ঘোষণা করেছে রাজ্য। আগামী অর্থবর্ষের জন্য সেখানে বরাদ্দ রাখা হয়েছে ৫০০ কোটি টাকা। প্রকল্পের সবিস্তার প্রকল্প রিপোর্ট ইতিমধ্যেই তৈরি হয়েছে। শুরু হয়েছে দরপত্রের প্রক্রিয়া। এই প্রসঙ্গে বাজেট নথিতে কেন্দ্রকে দোষারোপ করে বলা হয়েছে, ‘‘... জলপথ পার হয়ে এই মেলায় পৌঁছানো খুবই কঠিন ও কষ্টসাধ্য। বার বার কেন্দ্রীয় সরকারকে জানিয়ে কোনও সাড়া না পেয়ে রাজ্য সরকার নিজস্ব উদ্যোগে পুণ্যার্থীদের যাতায়াতের এই সমস্যার সমাধানে গত বাজেটে ‘গঙ্গা সাগর সেতু’ নির্মাণের ঘোষণা করেছিল।’’

এর পাশাপাশি, রাজ্যের তিন নদী অববাহিকা, ৩৯টি উপ অববাহিকা এবং জলাভূমিগুলির সংযোগ স্থাপনের মাধ্যমে নদীর পুনরুজ্জীবনের উদ্দেশ্যে ‘নদী বন্ধন’ প্রকল্পের প্রস্তাব করেছে রাজ্য। তাদের দাবি, এর মাধ্যমেও কর্মসংস্থানের সুযোগ খুলবে। বরাদ্দ ২০০ কোটি টাকা। একই ভাবে ‘ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান’-এ আগামী অর্থবর্ষে ৫০০ কোটি বরাদ্দ রাখা হয়েছে। ‘বাংলার বাড়ি (গ্রামীণ)’ প্রকল্পে বরাদ্দ ৯৬০০ কোটি। এই নির্মাণ প্রকল্পেও প্রচুর কাজের সুযোগ তৈরির আশা করছে সরকার। আবাস যোজনায় মোদী সরকার আর্থিক সাহায্য বন্ধ করেছে অভিযোগ করে গত বছর এই প্রকল্প শুরু করেছিল রাজ্য।

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Election West Bengal government

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:

Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy

{-- Slick slider script --}}