Advertisement
১৬ এপ্রিল ২০২৪
United Nations

খাদ্য সঙ্কটের মুখে দাঁড়িয়ে বিশ্ব, আশঙ্কা রাষ্ট্রপুঞ্জের

রাষ্ট্রপুঞ্জ জানাচ্ছে, ইউক্রেন বিশ্বের ৪০ কোটি মানুষের খাদ্য জোগায়, অথচ যুদ্ধের কারণে সেখান থেকে খাদ্যশস্য রফতানি প্রায় পুরো বন্ধ।

ইউক্রেন বিশ্বের ৪০ কোটি মানুষের খাদ্য জোগায়।

ইউক্রেন বিশ্বের ৪০ কোটি মানুষের খাদ্য জোগায়। ফাইল চিত্র।

সংবাদ সংস্থা
রাষ্ট্রপুঞ্জ শেষ আপডেট: ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২২ ০৭:৪২
Share: Save:

পরের বছরেই বিশ্বে ভয়াবহ খাদ্য সঙ্কট দেখা দিতে পারে বলে আশঙ্কা রাষ্ট্রপুঞ্জের। তাদের খাদ্য অধিকর্তা ডেভিড বিস্‌লের মতে, খাবারের অভাব এবং জিনিসপত্রের চড়া দাম শুধু দুর্ভিক্ষই তৈরি করবে না, বরং এর জেরে বিভিন্ন দেশে বৈষম্য এবং সামাজিক অস্থিরতাও বাড়তে পারে। যা এড়ানোর জন্য আর্থিক সাহায্য করতে আরব দুনিয়া-সহ বিশ্বের ধনকুবেরদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। বলেছেন, তাঁরা যদি কয়েক দিনের মুনাফাও এই খাতে দেন, তা হলেই সঙ্কট অনেকটা কাটানো সম্ভব।

আবহাওয়া পরিবর্তন, করোনা ও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের জেরে গত ক’বছরে বিশ্বে না-খেতে পাওয়া মানুষের সংখ্যা কয়েক গুণ বেড়েছে। সম্প্রতি এক আলোচনায় বিস্‌লে জানান, সাড়ে পাঁচ বছর আগে যখন তিনি রাষ্ট্রপুঞ্জের খাদ্য সংক্রান্ত বিভাগের দায়িত্ব নেন, তখন পৃথিবী জুড়ে প্রায় ৮ কোটি মানুষ ঠিক মতো খেতে পেতেন না। ভাবা হয়েছিল সেই সংখ্যা কমিয়ে আনা যাবে। অথচ এখন তা হয়েছে ৩৪.৫ কোটি।

রাষ্ট্রপুঞ্জ জানাচ্ছে, ইউক্রেন বিশ্বের ৪০ কোটি মানুষের খাদ্য জোগায়, অথচ যুদ্ধের কারণে সেখান থেকে খাদ্যশস্য রফতানি প্রায় পুরো বন্ধ। রাশিয়া দ্বিতীয় বৃহত্তম সার রফতানিকারী এবং অন্যতম বড় শস্য উৎপাদক, কিন্তু পশ্চিমী দুনিয়ার নিষেধাজ্ঞার জেরে বিশ্ব বাজারে তাদের পণ্য ঠিক মতো আসছে না। সার রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা চাপিয়েছে বৃহত্তম উৎপাদক চিন। ফলে অন্যান্য দেশে শস্য উৎপাদন মার খাচ্ছে। আবার ভারত-সহ বিভিন্ন দেশে অতিরিক্ত গরম এবং বৃষ্টির অভাবে ব্যাহত হচ্ছে কৃষি কাজ। বিস্‌লে বলেন, এ সবই খাদ্য সঙ্কটকে আরও ত্বরান্বিত করে তুলেছে। যা বিশ্ব বাজারে খাবারের দামও বাড়াচ্ছে।

এই পরিস্থিতিতে যত দ্রুত সম্ভব সারের সরবরাহ ঠিক করা, শস্য বণ্টন ব্যবস্থা মজবুত করা এবং দারিদ্রসীমার নীচে থাকা মানুষের কাছে পণ্য পৌঁছনোর জোর দিচ্ছে রাষ্ট্রপুঞ্জ। আর সে জন্য বিশ্বের ধনীদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানাচ্ছে তারা। আমেরিকা, ইউরোপীয় দেশগুলি ইতিমধ্যেই খাদ্য নিরাপত্তার জন্য অর্থ দিয়েছে। এ বার বিশেষত অশোধিত তেলের চড়া দরের সুযোগে আরব দুনিয়া যে মুনাফা করছে, তার সামান্য অংশও যাতে গরিবদের স্বার্থে ব্যবহার করা হয়, সেই আর্জি জানিয়েছেন বিস্‌লে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

United Nations Global Food Crisis
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE