রফতানির বিকল্প বাজারের খোঁজ? নাকি রাশিয়ার তেলের আমদানি কমিয়ে আমেরিকার সঙ্গে দরাদরি? সরকার যে রাস্তাতেই পা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিক না কেন, তাতে কাঁটা ছড়িয়ে রয়েছে বিস্তর। আবার কিছু সুবিধাও আছে। অর্থাৎ, যে কোনও কৌশলের মধ্যেই রয়েছে ভাল-মন্দ। মন্তব্য ভারতের আন্তর্জাতিক বাণিজ্য ক্ষেত্রের উপদেষ্টা সংস্থা জিটিআরআই-এর। তাদের মত, এই অবস্থায় কাঠামোগত সংস্কার এবং আগ্রাসী কূটনীতিতে জোর দিতে হবে।
ভারতীয় পণ্যে ইতিমধ্যেই ২৫% শুল্ক বসিয়েছে আমেরিকা। তাতে রফতানিতে চাপ বেড়েছে। সংশ্লিষ্ট মহলের বক্তব্য, এর জেরে বাণিজ্য, জ্বালানি এবং কূটনীতির ক্ষেত্রে অনেক ভাঙা-গড়া হতে পারে। জিটিআরআই-এর প্রতিষ্ঠাতা অজয় শ্রীবাস্তব বলেন, ‘‘দিল্লির সামনে সমাধানের রাস্তা কঠিন। বোঝাপড়া, পাল্টা কর, বিকল্প রফতানি বাজারের খোঁজ, রাশিয়ার থেকে তেল আমদানি কমিয়ে শুল্কে সুবিধা— কোনওটাই সহজ নয়। প্রতিটি ক্ষেত্রেই ভাল-মন্দ রয়েছে। এই অবস্থায় দরকার কাঠামোগত সংস্কার এবং আমেরিকার শুল্কের ঝাঁঝ সামাল দিতে আগ্রাসী কূটনীতি। রফতানির গন্তব্য আরও বেশি করে ইউরোপ, আসিয়ান, আফ্রিকা, পশ্চিম এশিয়া এবং দক্ষিণ আমেরিকায় ছড়াতে হবে।’’ শ্রীবাস্তবের আরও বক্তব্য, চড়া আমদানি শুল্কের জেরে আমেরিকায় যদি মূল্যবৃদ্ধির হার মাথা তোলে এবং কাজের বাজারে তার বিরূপ প্রতিক্রিয়া পড়ে, তবে তারা সমস্ত দেশের ক্ষেত্রেই শুল্ক ১৫ শতাংশে নামিয়ে আনতে পারে।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)