হিন্দুস্তান পেট্রোলিয়ামের (এইচপিসিএল) সরকারি অংশীদারি ওএনজিসি-র হাতে যাওয়ার পরেও পরিচালন পর্ষদ ও ব্র্যান্ড-পরিচিতিতে স্বাতন্ত্র্য বজায় থাকবে প্রথম সংস্থাটির। বদলাবে না রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার তকমাও। তবে ওই শেয়ার হাতবদলের প্রক্রিয়া দ্রুত ও মসৃণ করতে তৈরি তিন মন্ত্রীর কমিটির নেতৃত্বে থাকবেন অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি। বাকি দু’জন পেট্রোলিয়াম মন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান এবং সড়ক পরিবহণ মন্ত্রী নিতিন গডকড়ী। সোমবার লোকসভায় ও পরে সংসদের বাইরে এ কথা জানান প্রধান।
সম্প্রতি এইচপিসিএলে সরকারের অংশীদারি (৫১.১১%) ওএনজিসি-কে বেচতে নীতিগত ভাবে সায় দিয়েছে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার আর্থিক বিষয়ক কমিটি। এমন পরিকল্পনার কথা বাজেটেই বলেছিলেন অর্থমন্ত্রী। জেটলি। এ জন্য প্রায় ৩০ হাজার কোটি টাকা উপুড় করবে ওএনজিসি।
কেন্দ্রের আশা, এর দৌলতে তৈরি হবে বিপুল বপু তেল সংস্থা। যা টক্কর দিতে পারবে বহুজাতিকগুলির সঙ্গে। স্রেফ আয়তনের জন্য সুবিধা পাবে যন্ত্র থেকে শুরু করে বিদেশে তেল-গ্যাসের ব্লক কেনা পর্যন্ত বিভিন্ন বিষয়ে দর কষাকষিতে। এক ছাদের তলায়
আসবে তেল উত্তোলন ও শোধন। সুবিধা হবে বিশ্ব বাজারে তেলের দামের ওঠা-পড়া সামলাতে। অনেকে বলছেন, যদিও এটি দুই রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার মধ্যে শেয়ারের হাতবদল, তবু শুধু এর দৌলতেই বাজেটে ঘোষিত বিলগ্নিকরণের লক্ষ্যমাত্রা এক ধাক্কায় অনেকখানি পূরণ করে ফেলবে কেন্দ্র।
এইচপিসিএলের সিংহভাগ শেয়ার ওএনজিসি-র হাতে গেলেও প্রথম সংস্থাটির নিজস্ব ব্র্যান্ড পরিচিতি বজায় থাকবে। থাকবে স্বতন্ত্র পর্ষদও। প্রধানের দাবি, এই মুহূর্তে এইচপিসিএলের বছরে তেল শোধন ক্ষমতা ২ কোটি ৪৮ লক্ষ টন। সংযুক্তির পরে ওএনজিসির শোধনাগারগুলিও যাবে এইচপিসিএলের আওতায়। অর্থাৎ ইঙ্গিত, মূলত তেল-গ্যাস উত্তোলনেই নজর দেবে ওএনজিসি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy