ডিসেম্বর পর্যন্ত ন’মাসে লোকসান বহু গুণ বেড়েছে। এবং তা প্রকাশ করা হয়েছে অডিটরের সিলমোহর ছাড়াই। এই ধাক্কা সামলে উঠে তারা টিকে থাকতে পারবে কিনা, এ বার সেই সংশয় প্রকাশ করল জাপানি বহুজাতিক তোশিবা নিজেই।
গত মাসে আমেরিকায় নিজেদের দেউলিয়া ঘোষণা করেছে তোশিবার পরমাণু বিদ্যুৎ উৎপাদন শাখা ওয়েস্টিংহাউস ইলেকট্রিক। মূল কারণ, মার্কিন মুলুকে পরমাণু বিদ্যুৎ সংক্রান্ত ব্যবসা নড়বড়ে হয়ে পড়া। নিউ ইয়র্কের দেউলিয়া আদালতে ওই সংক্রান্ত আইনের ১১ নম্বর ধারায় আবেদন করেছিল তোশিবা, যাতে সংস্থা গুটিয়ে না-ফেলতে হয় এবং ফের ঘুরে দাঁড়ানোর সুযোগ মেলে।
এই অবস্থায় দু’বার সময়সীমা মানতে ব্যর্থ হওয়ার পরে, মঙ্গলবার আর্থিক ফল প্রকাশ করেছে তারা। কিন্তু একে তো তা অডিট করা হয়নি। তার উপর আশঙ্কার থেকেও অনেক বেশি হয়েছে লোকসান। তার পরেই সমস্যা গভীরতর হওয়ার ইঙ্গিত দিয়ে টিভি থেকে শুরু করে তথ্যপ্রযুক্তির সরঞ্জাম, পরমাণু বিদ্যুৎ তৈরির সংস্থা তোশিবা জানায় অস্তিত্ব রক্ষা নিয়ে সংশয় তৈরি হওয়ার কথা।
তোশিবার অডিটর প্রাইসওয়াটার -হাউস কুপার্স অবশ্য দায় নিতে অস্বীকার করে এই ফল সম্পর্কে মন্তব্য করেনি। যা টোকিও স্টক এক্সচেঞ্জ থেকে সংস্থার নথিভুক্তি বাতিল হওয়ার সম্ভাবনাও বাড়িয়েছে। সে ক্ষেত্রে সংস্থার সঙ্কট বাড়বে।