পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে বলে সতর্ক করেছে অর্থ ভাণ্ডার
চিন-মার্কিন শুল্ক যুদ্ধ বিশ্বের আর্থিক বৃদ্ধিকে ১% টেনে নামাতে পারে বলে সতর্ক করেছিল মার্কিন শীর্ষ ব্যাঙ্ক ফেডারেল রিজার্ভের সমীক্ষা। একই পথে হেঁটে আন্তর্জাতিক অর্থ ভাণ্ডারও (আইএমএফ) জানাল, বাণিজ্য নিয়ে বৃহত্তম দুই অর্থনীতির দেশের মধ্যে সংঘাতের জেরে ২০২০ সালে বৃদ্ধি কমতে পারে ০.৮%। যা তাদের গত বছরের ০.৫ শতাংশের পূর্বাভাসের তুলনায় বেশি। অবস্থা না-বদলালে পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে বলে সতর্ক করেছে অর্থ ভাণ্ডার। ২০১৯ সালের বিশ্বে বৃদ্ধির পূর্বাভাসও কমিয়ে ৩.৩% করেছে তারা। মন্দার পর থেকে যা সব চেয়ে কম।
আইএমএফের মুখপাত্র গেরি রাইসের মতে, বাণিজ্য নিয়ে উত্তেজনা অর্থনীতিতে প্রভাব ফেলছে। বিশেষত উৎপাদন শিল্প যে ভাবে ঝিমিয়ে পড়েছে, তা ২০০৭-০৮ সালে বিশ্ব মন্দার পরে দেখা যায়নি। ফলে অর্থনীতি ঘিরে আশঙ্কা আরও বাড়ছে। তবে আমেরিকার অর্থনীতিতে তার প্রভাব পড়বে না বলেই দাবি মার্কিন অর্থসচিব স্টিভেন মনুচিনের। এ দিকে, সয়াবিন, শুয়োরের মাংসের মতো আরও কিছু মার্কিন পণ্যকে চিন শুল্কের আওতার বাইরে রাখতে পারে বলে খবর। ইতিমধ্যেই ১৬ ধরনের পণ্যে ছাড় দিয়েছে তারা।
উল্লেখ্য, ফেড বলেছিল, শুল্ক-যুদ্ধের জেরে সব মিলিয়ে বিশ্বের বৃদ্ধি কমতে পারে ১%। সংশ্লিষ্ট মহলের মতে, যদি বিশ্ব অর্থনীতির মাপ ৮৫ লক্ষ কোটি ডলার ধরা হয়, সে ক্ষেত্রে বাণিজ্য-যুদ্ধে তা ধাক্কা খাওয়ার অঙ্ক দাঁড়াবে প্রায় ৮৫,০০০ কোটি ডলার।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy