বার্ষিক সভায় মাল্য। ছবি:পিটিআই।
চলতি সপ্তাহেই কিংফিশার ও তার কর্ণধার বিজয় মাল্যকে ইচ্ছে করে ধার শোধ না-করা গ্রাহকের তকমা দিয়েছে ইউনাইটেড ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া (ইউ বি আই)। বৃহস্পতিবার এর বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ করলেন মাল্য। জোরালো ভাষায় অভিযোগ অস্বীকার করে তিনি জানালেন, ইচ্ছে করে ঋণ শোধ করেননি বলে যে-অভিযোগ এনেছে ইউবিআই, আইনি পথে হেঁটেই তা চ্যালেঞ্জ করা হবে।
২০১২ থেকে উড়ান বন্ধ হওয়া কিংফিশারের কাছে ইউবিআইয়ের বকেয়া ৪৫০ কোটি টাকা। যা ফেরত না-পেয়ে কিছু দিন আগেই কিংফিশার, বিজয় মাল্য ও সংস্থার আরও তিন ডিরেক্টরকে ওই তকমা দিয়েছে ব্যাঙ্কটি। এর ফলে আইন অনুযায়ী, আর কোনও সংস্থাতেই মাল্য ডিরেক্টর হিসেবে পরিচালন পর্ষদে থাকতে পারবেন না। এমনকী যে- ব্যবসাগুলির সঙ্গে তিনি যুক্ত থাকবেন, আগামী দিনে ব্যাঙ্ক থেকে সেগুলির ঋণ পাওয়ার সম্ভাবনাও তেমন থাকবে না। এই পরিস্থিতিতে মাল্যের অভিযোগ, তাঁকে সম্পূর্ণ অন্ধকারে রেখে একতরফা ভাবে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইউবিআই।
এ দিন ছিল তাঁর সংস্থা ইউনাইটেড ব্রুয়ারিজের বার্ষিক সাধারণ সভা। তারই ফাঁকে মাল্য বলেন, “বিষয়টি চূড়ান্ত ভাবে ঘোষণা করে দেওয়ার আগে একবারও আমাদের কথা শোনেনি ব্যাঙ্কটির অভিযোগ খতিয়ে দেখা সংক্রান্ত কমিটি। আমাদের কমিটির সামনে হাজির হওয়ার সুযোগই দেওয়া হয়নি। ব্যাঙ্কের সিদ্ধান্তের সঙ্গে আমরা একমত নই। ওই অভিযোগের বিরুদ্ধে আইনি পথে যাব।” সে ক্ষেত্রে দেশের বিচার ব্যবস্থার প্রতি মাল্যের পূর্ণ আস্থা রয়েছে।
কিংফিশার ব্র্যান্ডের বিয়ার প্রস্তুতকারক ইউনাইটেড ব্রুয়ারিজে এখন হেইনেকেন-এর অংশীদারি ৩৮%। আর ইউনাইটেড স্পিরিট্সের সিংহভাগ মালিকানাই ডিয়াজিও-র। মাল্য অবশ্য দু’টি সংস্থারই চেয়ারম্যান। তবে ইউবিআই তাঁকে ইচ্ছাকৃত ভাবে ঋণ বাকি রাখা গ্রাহকের তকমা দেওয়ায় সংস্থা দু’টি মাল্যকে ইউনাইটেড ব্রুয়ারিজ ও ইউনাইটেড স্পিরিট্সের পর্ষদ থেকে সরাবে কি না, তা নিয়ে এ দিন প্রশ্ন উঠেছে স্বাভাবিক ভাবেই। যার উত্তরে মাল্য বলেন, “এই প্রশ্ন আমাকে নয়, সরাসরি হেইনেকেন ও ডিয়াজিওকে করা উচিত আপনাদের।”
প্রসঙ্গত, বিজয় মাল্যকে ইচ্ছাকৃত ভাবে ধার শোধ না-করার তালিকায় ফেলা হতে পারে বলে ইঙ্গিত দিয়েছে আইডিবিআই ব্যাঙ্কও।
ন’দিন বাদে পড়ল সূচক
নিজস্ব সংবাদদাতা • সংবাদ সংস্থা
টানা ৯ দিন ওঠার পরে বৃহস্পতিবার পড়ল শেয়ার বাজার। এ দিন ৫৪ পয়েন্ট পড়েছে সেনসেক্স। দিনের শেষে বাজার বন্ধের সময়ে সেনসেক্স থিতু হয় ২৭,০৮৫.৯৩ পয়েন্টে। এ দিন টাকার দাম অবশ্য ডলারে ১৩ পয়সা বেড়েছে। ফলে বৈদেশিক মুদ্রার বাজার বন্ধের সময়ে প্রতি ডলারের দাম দাঁড়ায় ৬০.৩৬ টাকা। তবে এ দিন কিন্তু এক সময়ে সেনসেক্স আগের দিনের থেকে ১৬৭ পয়েন্ট কমে ২৭ হাজারের নীচে নেমে ঠেকেছিল ২৬,৯৭২.৩৯ অঙ্কে। কিন্তু পরের দিকে প্রধানত বিদেশি লগ্নিকারী সংস্থাগুলি শেয়ার কিনতে থাকলে সূচকও উপরে উঠতে শুরু করে। গত ৯ দিন ধরে বাজার টানা বাড়ছে। এর ফলে দাম যেখানে উঠে এসেছে, সেখানে তা কতটা স্থায়ী হবে, তা নিয়ে অবশ্য সন্দেহ রয়েছে লগ্নিকারীদের মনে। সেই কারণে মুনাফার টাকা তুলে নেওয়ার প্রবণতা এখন কিছুটা দেখা দিতে পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। তবে বড় মাপের পতনের সম্ভাবনা আছে বলে মনে করছেন না তাঁরা। তার প্রধান কারণ, বিদেশি লগ্নি সংস্থাগুলি ভারতের বাজারে তাদের বিনিয়োগ ক্রমশ বাড়াচ্ছে। গত সোম এবং মঙ্গলবার ওই সব সংস্থা ১২৬০ কোটি টাকার শেয়ার কিনেছিল। বুধবার এক দিনেই শেয়ার কেনার পরিমাণ বেড়ে ১২৮৮.৫৭ কোটি টাকায় পৌঁছে গিয়েছে বলে সংবাদ সংস্থার খবর।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy