Advertisement
E-Paper

আর্থিক সঙ্কটেই এ বার ফিকে বিশ্বকর্মা পুজো 

হাওড়ার দু’টি কারখানায় ‘ভালভ’ বানান ছোট শিল্পের সংগঠন ফসমি-র সদস্য উদয়ন কর্মকার। বলছেন, কখনও বাজেট করে পুজো হয়নি।

দেবপ্রিয় সেনগুপ্ত

শেষ আপডেট: ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২০ ০৩:৪০
—ফাইল চিত্র।

—ফাইল চিত্র।

বরাবর বিশ্বকর্মা পুজোর সপ্তাহ দুয়েক আগেই কারখানাগুলিতে সাজো সাজো রব পড়ে। পরিবার নিয়ে পুজোয় ভিড় জমান কর্মীরা। খাওয়া-দাওয়ার এলাহি বন্দোবস্ত বহু সংস্থার ঐতিহ্য। কিন্তু এ বার অনেক জায়গাতেই সেই চেনা ছবিটা উধাও। পুজো হলেও, তহবিলে কাটছাঁট হয়েছে বিস্তর। শিল্পের দাবি, একে তো অর্থনীতির ঝিমুনিতে ক্লান্ত ব্যবসা এখন করোনায় বিপর্যস্ত। তার উপরে রয়েছে স্বাস্থ্য বিধি। ফলে পুজোটুকু করলেই হল।
ভারত চেম্বারের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট রাকেশ শাহ মনে করাচ্ছেন পুজোর ১৫-২০ দিন আগে পরিকল্পনা শুরুর কথা। তাঁদের ফলতা, হুগলি, হাওড়ার কারখানায় তৈরি ইঞ্জিনিয়ারিং পণ্য মূলত রফতানি হয়। এই এপ্রিল-অগস্টে ব্যবসা ২০% কমেছে। রাকেশ জানান, ‘‘ছোট করে পুজো চেয়েছেন কর্মীরাও। তবে তাঁদের পরিবারের জন্য প্রসাদের প্যাকেট যাবে।’’
হাওড়ার দু’টি কারখানায় ‘ভালভ’ বানান ছোট শিল্পের সংগঠন ফসমি-র সদস্য উদয়ন কর্মকার। বলছেন, কখনও বাজেট করে পুজো হয়নি। ৭-৮ লক্ষ টাকা লেগে যায়। তবে এ বার খরচ প্রায় ৯০% কমাতে হয়েছে। তাঁর দাবি, ‘‘এপ্রিল-জুলাই আয় হয়নি। তবে কাউকে ছাঁটাই করিনি। তিন মাসে প্রায় ১ কোটি টাকা বেতন দিয়েছি। স্যানিটাইজ়েশনে মাসে ৩০-৪০ হাজার বাড়তি লাগছে।’’ তাঁদের কলকাতা, শিরাকোল, ফলতার কারখানাগুলিতে পুজোর বাজেট অন্তত ৫০% কমেছে, জানান মার্চেন্ট চেম্বারের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট দীপক জালানও। যাঁর পেন ও কালি তৈরির ব্যবসা। সকলেরই অবশ্য আশা, আবার ফিরবে ধুমধামের সেই বিশ্বকর্মা।

Vishwakarma Puja 2020 Economic Crisis
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy