বিজনেস ক্লাসে যাত্রীর আকাল সারা দেশেই। সে কথা মাথায় রেখে ব্যবসা কৌশল ঢেলে সাজছে বিস্তারা। জোর দিচ্ছে ইকনমি ক্লাসের আসন বাড়ানোর উপর। আর এই ‘নতুন’ বিস্তারার উড়ান মানচিত্রে এ বার ঢুকে পড়ছে কলকাতাও। পরিষেবা চালুর ১৭ মাস পরে শুক্রবারই এই শহরের মাটি ছোঁবে তাদের বিমান।
এক সময় পর্যাপ্ত সংখ্যায় বিজনেস ক্লাসের যাত্রী না মেলায় কলকাতা থেকে পাততাড়ি গুটিয়েছিল ব্রিটিশ এয়ারওয়েজ ও লুফৎহানসা। কিন্তু বিস্তারার দাবি, সেই অভাব সারা দেশে। গত দু’বছরে গড়ে তা কমেছে ১০%। যে কারণে তুলনায় সস্তায় পরিষেবা দেওয়া ইন্ডিগো যেখানে চুটিয়ে ব্যবসা করছে, সেখানে মুনাফার মুখ দেখতে সমস্যায় পড়ছে বিজনেস ক্লাসের আসন থাকা এয়ার ইন্ডিয়া, জেট কিংবা গো।
বিশেষজ্ঞদের মতে, দেশে এক শহর থেকে অন্য শহরে যেতে সময় লাগে দু’আড়াই ঘণ্টা। তাই ওইটুকু সময়ের জন্য সিট হেলিয়ে আরাম বা ভাল খাবারের মতো টুকটাক সুবিধা পেতে বিজনেস ক্লাসের অনেক বেশি ভাড়া গুনতে চাইছেন না অনেকে। সেই কারণেই বিস্তারার কৌশল বদল।
টাটা সন্স-সিঙ্গাপুর এয়ারলাইন্সের যৌথ উদ্যোগে তৈরি বিস্তারার বিমানে শুরুতে ১৬টি বিজনেস, ৩৬টি প্রিমিয়ার ইকনমি ও ৯৬টি ইকনমি ক্লাসের আসন থাকত। সিইও ফি টেকের কথায়, ‘‘বাধ্য হয়ে আসন বিন্যাস বদলাচ্ছি।’’ এ বার ৮টি বিজনেস, ২৪টি প্রিমিয়ার ইকনমি ও ১২৬টি ইকনমি আসন থাকছে। এই বিমানই কলকাতায় চালানো হবে। শুরু হবে দিনে দু’টি করে দিল্লির উড়ান দিয়ে।
কলকাতা-ইউরোপ সরাসরি উড়ান নেই। সিসিও সঞ্জীব কপূরের দাবি, ‘‘ব্রিটিশ এয়ার, এয়ার ফ্রান্স, কেএলএমের সঙ্গে আমাদের জোট আছে। তাই তাদের যাত্রীদের দিল্লিতে পৌঁছনোও ভাল ব্যবসা হতে পারে।’’ এই কারণও তাদের কলকাতায় টেনে এনেছে বলে দাবি সঞ্জীবের।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy