একে বোরো চাষের মরসুম, তার উপর উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষাও চলছে। তবু গত তিন দিন ধরে রাজ্যজুড়ে ঝড়-বৃষ্টির কারণে বিদ্যুতের চাহিদা এক ধাক্কায় গত এক সপ্তাহের তুলনায় ১,০০০ মেগাওয়াটের বেশি কমে গিয়েছে। ফলে তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলিতে অনেকটাই জ্বালানির সাশ্রয় হচ্ছে। কয়লার জোগান নিয়ে সঙ্কটের সময় কয়েক দিনের জন্য জ্বালানি সাশ্রয় হলেও আর্থিক ভাবে কিছুটা লাভ হবে বলেই বিদ্যুৎ কর্তারা মনে করছেন।
পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থা সূত্রে খবর, দিন ছয়েক আগেও সারা রাজ্যে (সিইএসসি এলাকা বাদ দিয়ে) বিদ্যুতের চাহিদা ছিল ৫,২০০ মেগাওয়াটের মতো। আবহাওয়া ঠান্ডা হওয়ায় বৃহস্পতিবার সেই চাহিদাই নেমে দাঁড়ায় ৪,০১০ মেগাওয়াটের ঘরে। রাজ্য জুড়ে এ দিন এক লপ্তে ১,১৯০ মেগাওয়াট চাহিদা কমে যায়।
বোরো চাষের মরসুম সঙ্গে পরীক্ষার কারণে বিদ্যুতের কোনও ঘাটতি থাকলে চলবে না বলে আগেই জানিয়ে দিয়েছিল রাজ্য প্রশাসন। ফলে আগাম কয়লার ব্যবস্থা করে তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলিতে জোর কদমে উৎপাদনের ব্যবস্থাও করে রাখতে হচ্ছিল পশ্চিমবঙ্গ বিদ্যুৎ উন্নয়ন নিগমকে। শীতের শেষে গরমের রোদ সামান্য চড়া হতেই এক সপ্তাহ আগেও ৩,০০০ মেগাওয়াটের বেশি উৎপাদন করতে হয়েছে নিগমের তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলিকে। সেখানে আবহাওয়া ঠান্ডা হয়ে যাওয়ার পাশাপাশি মাঠে বৃষ্টির জল পাওয়ায় বোরো চাষের জন্য পাম্প চালানোও অনেকটা কমে গিয়েছে। ফলে এ দিন নিগমের তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলিকে ২৫৭০ মেগাওয়াটের বেশি বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে হয়নি। তবে ঝড়বৃদ্ধির কারণে বিভিন্ন জেলায় তার ছিঁড়ে বিদ্যুতের খুঁটি পড়ে কাজ বেড়েছে কর্মীদের।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy