E-Paper

বাজার তৈরি, আশ্বাস রাশিয়ার

মঙ্গলবার চিনের রাষ্ট্রদূত ওয়াং ই ভারত সফরে এসে আমেরিকার নাম না করে বলেন, ‘‘একতরফা গুন্ডামি চলছে।’’

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ২১ অগস্ট ২০২৫ ০৮:৫০
(বাঁ দিকে) নরেন্দ্র মোদী এবং ভ্লাদিমির পুতিন (ডান দিকে)।

(বাঁ দিকে) নরেন্দ্র মোদী এবং ভ্লাদিমির পুতিন (ডান দিকে)।

এক দিন আগে পাশে দাঁড়িয়েছিল চিন। এ বার আরও এক বার রাশিয়া। এ দেশে মস্কোর উপরাষ্ট্রদূত রোমান বাবুশকিনের বক্তব্য, তাঁদের থেকে তেল কেনার জন্য ভারতের উপরে আমেরিকার চাপ অযৌক্তিক। ভারতের যদি আমেরিকায় রফতানিতে সমস্যা হয়, তা হলে রাশিয়ার দরজা খোলা আছে। উল্লেখ্য, এক সপ্তাহের মধ্যে ভারতীয় পণ্যের উপরে আমদানি শুল্ক ২৫% থেকে বাড়িয়ে ৫০% করতে পারে আমেরিকা। তার ঠিক আগে রাশিয়ার এই বার্তা তাৎপর্যপূর্ণ।

মঙ্গলবার চিনের রাষ্ট্রদূত ওয়াং ই ভারত সফরে এসে আমেরিকার নাম না করে বলেন, ‘‘একতরফা গুন্ডামি চলছে।’’ আর বুধবার বাবুশকিনের বক্তব্য, ‘‘ভারতের উপরে চাপ বাড়ানো অযৌক্তিক। বাহ্যিক চাপ সত্ত্বেও ভারত-রাশিয়া জ্বালানি বোঝাপড়া অব্যাহত থাকবে। যারা নিষেধাজ্ঞা চাপাচ্ছে, সমস্যা তাদেরই হবে।’’ একই সঙ্গে তাঁর বক্তব্য, ‘‘ভারতীয় পণ্য যদি আমেরিকার বাজারে সমস্যায় পড়ে, রাশিয়া সেই পণ্যকে স্বাগত জানাবে।’’ রাশিয়ার উপপ্রধানমন্ত্রী ডেনিস মান্টুরোর দাবি, আগামী দিনে তাঁরা ভারতে এলএনজি পাঠাতে পারেন।

এ দিকে, দামে বেশি ছাড় পাওয়ায় সেপ্টেম্বর ও অক্টোবরে রাশিয়া থেকে আরও বেশি তেল কেনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে পেট্রোলিয়াম মন্ত্রক এবং দেশীয় তেল সংস্থাগুলির একাধিক কর্তার দাবি। সূত্রের খবর, দাম বেশি থাকায় ভারত গত দু’মাস রাশিয়াকে তেলের বরাত দেয়নি। ফলে সেখানকার উরাল ক্রুডের দাম ব্যারেলে ৩ ডলার করে কম নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। তাই দেশীয় সংস্থাগুলির এই সিদ্ধান্ত। উল্লেখ্য, আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের বরাত দিতে হয় দু’মাস আগে।

আমেরিকা যখন বিভিন্ন দেশের উপরে চাপ বাড়াচ্ছে তখন পারস্পরিক সহযোগিতা বাড়ানোর চেষ্টা করছে ভারত, রাশিয়া ও চিন। শিল্প ক্ষেত্রের জন্য গুরুত্বপূর্ণ খনিজ (রেয়ার আর্থ মিনারেলস) এবং সার সরবরাহের প্রক্রিয়া সহজ করার আশ্বাস দিয়েছে বেজিং। ভারতের আন্তর্জাতিক বাণিজ্য সংক্রান্ত উপদেষ্টা সংস্থা জিটিআরআই-এর বক্তব্য, এই লক্ষণ ইতিবাচক। তবে ভবিষ্যতের কথা ভেবে শুধু প্রতিবেশী দেশটির উপরে নির্ভর করা উচিত হবে না। উৎপাদনে জোর দিতে হবে। কারণ, চিনের সঙ্গে বাণিজ্য ঘাটতি ১০,০০০ কোটি ডলার ছুঁয়েছে। সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা অজয় শ্রীবাস্তব বলেন, ‘‘শক্তিশালী এবং আরও বেশি আত্মনির্ভর ভারত চিনের সঙ্গে বোঝাপড়ার ক্ষেত্রে আরও ভাল জায়গায় থাকবে।’’

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

India US Trade India China Trade

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy