গত মাসে দেশের খুচরো মূল্যবৃদ্ধির হার সাত মাসের মধ্যে সব থেকে নীচে নামলেও, পাইকারি বাজারে তা মাথা তুলল। তবে তার থেকেও বেশি চিন্তা বাড়াল প্রক্রিয়াজাত-সহ কারখানায় উৎপাদিত খাদ্যপণ্যের দাম বৃদ্ধির গতি। কৃষিপণ্যের মধ্যে আশঙ্কা বহাল রেখেছে পেঁয়াজ এবং ফল। আলুর মূল্যবৃদ্ধির হার কমলেও, তা ২৭ শতাংশের উপরে। ফলে অদূর ভবিষ্যতে এই দাম খুচরো বাজারে ক্রেতার উপরে কতটা প্রভাব ফেলে, সেই দিকেই তাকিয়ে সংশ্লিষ্ট মহল।
সোমবার শিল্প-বাণিজ্য মন্ত্রকের পরিসংখ্যানে প্রকাশ, ফেব্রুয়ারিতে পাইকারি মূল্যবৃদ্ধি ছুঁয়েছে ২.৩৮%। জানুয়ারিতে ২.৩১% ছিল। ২০২৪-এর ফেব্রুয়ারিতে ০.২%। বিশেষজ্ঞ মহলের বক্তব্য, সংখ্যার বিচারে এই বৃদ্ধি যৎসামান্য। পাইকারি দামের প্রভাব সরাসরি ক্রেতার উপরে পড়েও না। তবু উদ্বেগ এড়ানো যাচ্ছে না। কারণ, পেঁয়াজের মূল্যবৃদ্ধি ৪৮.০৫%। ভোজ্য তেলের ৩৩.৫৯%, ফলের ২০.৮৮%, তৈরি খাদ্যপণ্যের ১১.০৬%। আলুর ক্ষেত্রে ৭৪.২৮% থেকে অনেকটা কমলেও, তা রয়ে গিয়েছে ২৭.৫৪ শতাংশে। বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে, এই দাম দেরিতে হলেও খুচরো বাজারে বিরূপ প্রভাব ফেলতে পারে। তাই বিষয়টিতে কড়া নজর রাখতে হবে।
অন্য একটি অংশের বক্তব্য, গত মাসে খাদ্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধির হার কমায় খুচরো মূল্যবৃদ্ধি ৩.৬১ শতাংশে নামে। যা ফেব্রুয়ারির পরে রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্কের এপ্রিলের ঋণনীতিতেও সুদ কমার সম্ভাবনা উজ্জ্বল করেছে। ঋণনীতি নির্ধারণের ক্ষেত্রে পাইকারি বাজারের গুরুত্ব তেমন নয়। সেই দরের প্রভাব খুচরো বাজারে পড়তে সময়ও লাগে। কিন্তু পড়লে মুশকিল।
পরিসংখ্যান বলছে, পাইকারি বাজারে খাদ্য ও জ্বালানি বাদে বাকি অংশের মূল্যবৃদ্ধির হার (কোর ইনফ্লেশন) এখন ১.৩%। যা ২৪ মাসে সর্বোচ্চ। সেটাও উদ্বেগের। আগামী কয়েক মাসে তাপপ্রবাহের প্রভাবও উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)