ছোট ও মাঝারি শিল্পে মান্ধাতার আমলের নিয়মকানুনের অনেক কিছুই আজকের দুনিয়ায় অচল। অথচ বছরের পর বছর তা চলে আসছে। এ বার সেই সমস্ত অযৌক্তিক ও অচল নিয়ম বাতিল করার জন্য চিহ্নিত করতে উপদেষ্টা নিয়োগ করছে রাজ্যের ছোট ও মাঝারি শিল্প দফতর।
শুক্রবার এমসিসি চেম্বার অব কমার্সে এক আলোচনায় সংশ্লিষ্ট দফতরের সচিব রাজীব সিংহ রাজ্যের বিভিন্ন পরিকল্পনা শিল্প কর্তাদের সামনে তুলে ধরেন। তিনি জানান, ছোট-মাঝারি শিল্পের নিয়মকানুন দীর্ঘ দিনের পুরনো। এ বার যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে সে সবের বাস্তবতা খতিয়ে দেখতে চাইছে রাজ্য। এ জন্য আইন বা সরকারি নিয়মে বদল জরুরি কি না, খতিয়ে দেখা হবে তা-ও। সচিব বলেন, “এ জন্য উপদেষ্টা নিয়োগ করা হবে। রাজ্যের তালিকাভুক্ত ট্র্যানজাকশন অ্যাডভাইসরদের মধ্য থেকেই নিয়ম মেনে ওই সংস্থা বাছা হবে।” মাস খানেকের মধ্যেই এই প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ হয়ে যাবে বলেও তাঁদের আশা।
নিযুক্ত হওয়ার পর ৯০ দিনের মধ্যে দফতরকে রিপোর্ট দেবে উপদেষ্টা সংস্থা। এ জন্য শিল্পমহল, সরকারি প্রতিনিধি-সহ সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের সঙ্গে কথা বলবে তারা। তবে কারও কথায় আইন বা নিয়ম বদলের প্রশ্ন নেই। তার বাস্তবতা খতিয়ে দেখে তবেই তা নথিভুক্ত করা হবে।
প্রশাসনিক ব্যবস্থায় গতি আনতে একগুচ্ছ পরিকল্পনাও নিয়েছে দফতর। যেমন, ছোট-মাঝারি শিল্পোদ্যোগকে উৎসাহ দিতে প্রতি জেলার শিল্প কেন্দ্রে (ডিআইসি) আলাদা ব্যবস্থা থাকবে। বিভিন্ন সরকারি ছাড়পত্র পেতে কার্যত এক-জানলা ব্যবস্থা চালু হবে।
জমির ‘মিউটেশেন’ বা নাম খারিজ এবং ‘কনভার্শন’ বা চরিত্র বদল করতে গিয়ে সমস্যায় পড়ে শিল্প। তাই দ্রুত ছাড়পত্র দিতে দফতর ইউনিক ক্লিয়ারেন্স সেন্টার চালু করেছে জলপাইগুড়ি ও হাওড়ায়। বধর্মান, বাঁকুড়া পুরুলিয়া ও হুগলিতেও তা শীঘ্রই চালু হবে। ছোট-মাঝারি শিল্পের জন্য ঋণের রাস্তা সুগম করতে জেলা শিল্প কেন্দ্রে ফিনান্সিয়াল ক্লিনিক চালু করেছে দফতর। আধিকারিক-কর্মীদের দক্ষতা বাড়াতে বন্দোবস্ত করা হয়েছে বিশেষ প্রশিক্ষণেরও।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy