বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থা বা ডব্লিউটিও-র আওতায় নয়া ব্যবস্থা চালু হতে পারে আর সপ্তাহ দু’য়েকের মধ্যেই। বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থায় খাদ্য সুরক্ষা নিয়ে বৃহস্পতিবার ভারতের দাবি আমেরিকা মেনে নেওয়ায় এই সম্ভাবনা উজ্জ্বল হয়ে উঠেছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামাও শুক্রবার ডব্লিউটিও-র যাত্রাপথ মসৃণ করার ব্যাপারে উদ্যোগী হওয়ার জন্য ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ব্যক্তিগত নেতৃত্বের প্রশংসা করেছেন।
হোয়াইট হাউসের প্রেস সচিব জোশ আর্নেস্ট এক বিবৃতিতে জানান, বিষয়টি নিয়ে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে দীর্ঘ আলোচনা হয় ওবামার, যার জেরে খাদ্য সুরক্ষা নিয়ে একমত হল দু’টি দেশ।
প্রসঙ্গত, গণবণ্টনের জন্য শস্য মজুত করার ব্যবস্থা এবং ওই একই লক্ষ্যে দেওয়া খাদ্যে ভর্তুকি বজায় রাখার ব্যাপারে ভারতের দাবির সঙ্গে একমত হয়েছে আমেরিকা। এ জন্য সময়সীমা বেঁধে দেওয়ার পুরনো প্রথা থেকে সরে এসে তা ‘অনির্দিষ্টকাল’ বহাল রাখায় সায় দিয়েছে আমেরিকা।
ডব্লিউটিও-র ডিরেক্টর জেনারেল রবার্তো আজেভেদো বলেন, “অবাধ বিশ্ব বাণিজ্য ব্যবস্থা গড়ার লক্ষ্যে ২০১৩ সালে ইন্দোনেশিয়ার বালিতে যে-চুক্তি (ট্রেড ফেসিলিটেশন এগ্রিমেন্ট) হয়েছিল, তা রূপায়ণের পথে আর কোনও বাধা রইল না। মনে হয় খুব শীঘ্রই তা রূপায়িত হবে।”
সম্প্রতি পাশ হওয়া খাদ্য সুরক্ষা আইন অনুসারে ভারতে কম দামে খাদ্যশস্য জোগাতে হবে ৮৫ কোটি মানুষকে। সেই পরিপ্রেক্ষিতে ডব্লিউটিও-তে খাদ্য সুরক্ষা নিয়ে ভারতের দাবি অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। দরিদ্রদের ভর্তুকিতে খাদ্য বণ্টনের জন্যই ভারতকে যথেষ্ট পরিমাণে শস্য মজুত রাখতে হয়। আর, এখানেই আপত্তি ছিল ডব্লিউটিও তথা উন্নত দুনিয়ার। তাদের অভিযোগ ছিল, শস্য মজুত করলে ভাঙা হবে অবাধ বাণিজ্যের শর্ত, কারণ তা আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে কৃত্রিম ভাবে বাড়িয়ে দেবে শস্যের দর।
প্রসঙ্গত, ডব্লিউটিও আইনে শস্যের মোট উৎপাদন মূল্যের মাত্র ১০ শতাংশে ভর্তুকি দেওয়া যায়। যে-হারে ওই ভর্তুকি নির্ধারিত হয়, তা-ও অন্তত দু’দশকের পুরনো। এখানেই আপত্তি ছিল ভারতের। অন্য দিকে, আমেরিকা কৃষিতে ভর্তুকি দেয় ১২০০০ কোটি ডলার, যেখানে ভারতে তা মাত্র ১২০০ কোটি ডলার।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy