Advertisement
E-Paper

হলদিয়া পেট্রোকেমের হাল ফেরানোর <br>প্রক্রিয়া শুরু, দাবি পূর্ণেন্দুর

রাজ্য সরকারের সঙ্গে দীর্ঘ দিনের বিবাদ মিটিয়ে হলদিয়া পেট্রোকেমিক্যালসের হাল ফেরানোর প্রক্রিয়া অবশেষে শুরু হয়েছে বলে দাবি করলেন পূর্ণেন্দু চট্টোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার পেট্রোকেমের পরিচালন পর্ষদের বৈঠক শেষে এ কথা জানান তিনি। ধুঁকতে থাকা পেট্রোকেমকে বাঁচাতে রাজ্য চ্যাটার্জি গোষ্ঠীর হাতেই সংস্থার রাশ ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেওয়ার পরে এই প্রথম মুখ খুললেন পূর্ণেন্দুবাবু। যাঁর হাতে গড়া চ্যাটার্জি গোষ্ঠী পেট্রোকেমের অন্যতম প্রধান অংশীদার।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২০ জুন ২০১৪ ০১:১৩

রাজ্য সরকারের সঙ্গে দীর্ঘ দিনের বিবাদ মিটিয়ে হলদিয়া পেট্রোকেমিক্যালসের হাল ফেরানোর প্রক্রিয়া অবশেষে শুরু হয়েছে বলে দাবি করলেন পূর্ণেন্দু চট্টোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার পেট্রোকেমের পরিচালন পর্ষদের বৈঠক শেষে এ কথা জানান তিনি। ধুঁকতে থাকা পেট্রোকেমকে বাঁচাতে রাজ্য চ্যাটার্জি গোষ্ঠীর হাতেই সংস্থার রাশ ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেওয়ার পরে এই প্রথম মুখ খুললেন পূর্ণেন্দুবাবু। যাঁর হাতে গড়া চ্যাটার্জি গোষ্ঠী পেট্রোকেমের অন্যতম প্রধান অংশীদার।

এ দিন বৈঠক শেষে পূর্ণেন্দুবাবু জানান, সংস্থার আর্থিক স্বাস্থ্য ফেরানোর চেষ্টা শুরু হয়েছে। আলোচনা চলছে ঋণদাতা সংস্থাগুলির সঙ্গে। তবে বিষয়টি জটিল হওয়ায় সময় লাগছে। একই সঙ্গে, পেট্রোকেমের মালিকানা নিয়ে রাজ্য সরকারের সঙ্গে দীর্ঘ দিনের বিবাদ মিটিয়ে ফেলার প্রক্রিয়াও যে শুরু হয়েছে, তা স্পষ্ট করে দিয়েছেন তিনি। তবে সংস্থার চেয়ারম্যান হিসেবে তিনিই দায়িত্ব নিচ্ছেন কি না, সে প্রশ্নের উত্তর দেননি পূর্ণেন্দুবাবু। উল্লেখ্য, দফতর বদলের সময়ে প্রাক্তন শিল্পমন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় ইস্তফা দেওয়ার পর থেকে চেয়ারম্যানের ওই পদ খালিই রয়েছে।

উল্লেখ্য, সংশ্লিষ্ট সূত্রের খবর অনুযায়ী, হলদিয়া পেট্রোকেমের মালিকানা নিয়ে আইনি সমস্যা মেটাতে শেষ পর্যন্ত চ্যাটার্জি গোষ্ঠীর সঙ্গে সমঝোতার পথে হাঁটতে শুরু করেছে রাজ্য। চ্যাটার্জি গোষ্ঠীর হাতেই সম্ভবত সংস্থার রাশ ছাড়তে চলেছে তারা। চলতি মাসের গোড়ায় রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ঠিক হয়েছে, নিলামে যে-দরে (শেয়ার প্রতি ২৫.১০ টাকা) ইন্ডিয়ান অয়েল (আইওসি) হলদিয়া পেট্রোকেমের সরকারি শেয়ার কিনতে চেয়েছিল, ওই একই দামে তা বিক্রি করা হবে চ্যাটার্জি গোষ্ঠীকে। একই সঙ্গে, চ্যাটার্জি গোষ্ঠীকে বিশেষ কিছু আর্থিক সুবিধা দেওয়ারও পরিকল্পনা করেছে রাজ্য।

এই পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে এ দিন সাড়ে চার ঘণ্টা বৈঠক চলে। সেখানে পূর্ণেন্দবাবু ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন শিল্প সচিব চঞ্চলমল বাচাওয়াত, শিল্পোন্নয়ন নিগমের এমডি কৃষ্ণ গুপ্ত, পেট্রোকেমের এমডি উত্তম বসু প্রমুখ। সংশ্লিষ্ট সূত্রে খবর, এমডি হিসেবে উত্তমবাবুর মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে। বৈঠকে আলোচনার মূল বিষয় ছিল সংস্থার আর্থিক অবস্থা। নতুন পুঁজি ঢালার ক্ষেত্রে ব্যাঙ্কগুলির শর্ত নিয়েও কথা হয়েছে। আলোচনা হয়েছে মালিকানার কাঠামো পরিবর্তনের নিয়ম-কানুন এবং ব্যাঙ্কগুলির ভূমিকা নিয়েও।

তবে সংস্থার ঘুরে দাঁড়ানোর প্রক্রিয়া শুরু হওয়া নিয়ে দাবি করা হলেও এখনও অস্পষ্ট সংস্থায় সরকারি শেয়ার নিলাম প্রক্রিয়ার ভবিষ্যৎ। গত অক্টোবরে পেট্রোকেমের সরকারি শেয়ার কিনতে একমাত্র সংস্থা হিসেবে দর দিয়েছিল আইওসি। কিন্তু প্রায় সাত মাস কেটে যাওয়ার পরেও ওই শেয়ার হাতে পায়নি তারা। আইওসি-র দাবি, ওই শেয়ার নিলামের প্রক্রিয়া বাতিল না -করে সংস্থার ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করতে পারে না রাজ্য। আর যদি তা করে, তবে আইনি লড়াইয়ের সম্ভাবনা উড়িয়ে দিচ্ছে না তারা।

কয়লার মূল্য নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ গড়তে উদ্যোগ

নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা

পশ্চিমবঙ্গ, ওড়িশা-সহ বেশ কিছু রাজ্য কয়েক বছর ধরেই কয়লার মূল্য নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ তৈরির জন্য কেন্দ্রের উপর চাপ দিয়ে আসছে। কিন্তু ইউপিএ সরকারের আমলে তা হয়নি। বিজেপি সরকার এখন পর্ষদ গড়ার ব্যাপারে চিন্তা-ভাবনা শুরু করেছে বলে জানালেন কেন্দ্রীয় বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী পীযূষ গয়াল। বৃহস্পতিবার নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করার পরে এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, “আমরা বিষয়টি নিয়ে আলোচনা শুরু করেছি।” বেশ কয়েকটি রাজ্যের দীর্ঘদিনের অভিযোগ, কোল ইন্ডিয়া ইচ্ছা মতো কয়লার দাম বাড়ায়। তাতে বিদ্যুৎ উৎপাদনের খরচ বাড়ে। রাজ্যগুলির দাবি, বিমা বা টেলিকম শিল্পের মতো কয়লা ক্ষেত্রেও মূল্য নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ গড়া হোক। রাজ্যের বিদ্যুৎ-কর্তাদের মতে, গয়াল যেহেতু কয়লা ও বিদ্যুৎ দু’টি মন্ত্রকেরই দায়িত্বে রয়েছেন, তাই তাঁর পক্ষে বিষয়টি সার্বিক ভাবে বিবেচনা করা সহজ। এ দিন সকালে কলকাতায় এসেই গয়াল যান কোল ইন্ডিয়ার সদর দফতরে। বৈঠক করেন সংস্থার কর্তাদের সঙ্গে। বৈঠকের পরে সাংবাদিকদের গয়াল জানান, পরিবেশ মন্ত্রকের ছাড়পত্র না-মেলায় দীর্ঘ দিন ধরেই বেশ কয়েকটি খনিতে শুরু করা যায়নি খননের কাজ। দেশের কয়লা উৎপাদন বাড়াতে ওই প্রকল্পগুলিকে দ্রুত ছাড়পত্র দেওয়ার চেষ্টা করা হবে। ইতিমধ্যেই পরিবেশ মন্ত্রকের সঙ্গে তিনি কথা বলেছেন বলে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জানান।


স্মার্ট ফোনের বাজারে এ বার পা রাখল অ্যামাজন-ও। সম্প্রতি আত্মপ্রকাশ অনুষ্ঠানে এই ‘ফায়ার’ স্মার্ট

ফোনটির বৈশিষ্ট্য বোঝাচ্ছেন সংস্থার সিইও জেফ বেজোস। এতে থাকছে বিশেষ থ্রি-ডি প্রযুক্তি। যার সাহায্যে
কেনাকাটা করা যাবে সংস্থার ওয়েবসাইট থেকে। এ ছাড়া আছে অন্য বৈশিষ্ট্যও। ছবি: এপি।

haldia petrochem tussle purnendu chattopadhyay
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy