প্রতীকী ছবি।
অ্যাপ-ক্যাবের ভাড়া পুনর্বিন্যাসের দাবিতে আজ, সোমবার থেকে একটি অন্যতম প্রধান ক্যাব সংস্থার গাড়িতে বাতানুকূল যন্ত্র বন্ধ রেখে আন্দোলনে নামার ডাক দিয়েছে ওয়েস্ট বেঙ্গল অনলাইন ক্যাব অপারেটর্স গিল্ড।
সরাসরি যাত্রী প্রত্যাখ্যান করার বদলে গরমের সময়ে অ্যাপ-ক্যাবের বাতানুকূল যন্ত্র বন্ধ রাখার সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন ওই সংগঠনের নেতৃত্ব। বিষয়টি নিয়ে গত দু’দিন ধরে শহরের ক্যাব চালক এবং যাত্রীদের মধ্যে নাগাড়ে প্রচার চালানো হচ্ছে বলেও সংগঠন সূত্রের খবর। যাত্রীর কাছে পৌঁছনোর পরে ক্যাব চালক তাঁর হাতে নিজেদের দাবি সমন্বিত লিফলেট দিয়ে বাতানুকূল যন্ত্র চালাতে অপারগতার কথা বলবেন। যাত্রী রাজি না হলে চালকরাও যেতে আপত্তি জানাতে পারেন। দু’পক্ষের সংঘাতে পরিষেবা ধাক্কা খাওয়ার সমূহ আশঙ্কাও রয়েছে।
রাজ্যের শাসক দল ঘনিষ্ঠ ওই সংগঠনটির অভিযোগ, নির্দিষ্ট সংখ্যক ট্রিপ চালানোর পরে মোট আদায় হওয়া ভাড়ার ২৫ শতাংশ কেটে নিচ্ছে ক্যাব সংস্থা। যে টাকা ক্যাব চালকদের দেওয়া হচ্ছে তাতে জ্বালানি এবং গাড়ির কিস্তি মিটিয়ে আর বাড়ি নিয়ে যাওয়ার মতো টাকা থাকছে না চালকদের। অভিযোগ, চালকরা বিরোধিতা করলে অ্যাপ-ক্যাব সংস্থা চালকদের আইডি ব্লক করে দিচ্ছে। ফলে ওই চালক যাত্রী তুলতে পারছেন না।
তা হলে কি ভাড়া বাড়ানোর দাবি করা হচ্ছে ?
সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক ইন্দ্রনীল বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথায়, ‘‘রাজ্য সরকার হলুদ ট্যাক্সির ক্ষেত্রে কিলোমিটার প্রতি ১৫ টাকা ভাড়া নির্ধারণ করেছে। অ্যাপ-ক্যাব এবং লাক্সারি ট্যাক্সির ক্ষেত্রে ওই ভাড়া কিলোমিটার প্রতি ১৮.৭৫ টাকা। ক্যাব সংস্থাগুলি ওই সিদ্ধান্ত মানতে রাজি হলেও তা পালন করছে না। যাত্রী টানতে নানা রকম সুযোগ-সুবিধা-সহ অ্যাপে কিলোমিটার প্রতি ভাড়া কমিয়ে দেখাচ্ছে। পরে সার্জ প্রাইস বাড়িয়ে ঘুরপথে যাত্রীদের থেকেই ওই টাকার একাংশ আদায় করা হচ্ছে।’’ তাঁর অভিযোগ, নির্দিষ্ট সংখ্যক ট্রিপের পরে চালকদের মোট আদায় হওয়া ভাড়ার উপরেও ২৫ শতাংশ টাকা কেটে নেওয়া হচ্ছে। বাকি টাকা যাবতীয় খরচ ধরে গাড়ির চালক বা মালিককে প্রাপ্য হিসেবে দেওয়া হচ্ছে। বেশি ট্রিপ করলেও ইনসেনটিভ বা উৎসাহ ভাতা ঠিক মতো দেওয়া হয় না।
এ দিন ইন্দ্রনীলবাবু বলেন, ‘‘দু’টি ক্যাব সংস্থার মধ্যে গাড়ির সংখ্যা বেশি এমন একটি সংস্থা চালকদের সঙ্গে অমানবিক আচরণ করছে। বার বার অভিযোগ জানিয়েও কোনও ফল হয়নি। তাই আমরা এ ভাবে প্রতিবাদ করছি।’’
কিন্ত যাত্রীদের এ ভাবে ভোগান্তির মুখে ফেলার অর্থ কী ? সে উত্তর অবশ্য ইন্দ্রনীলবাবু দেননি।
অ্যাপ-ক্যাব চালকদের সিটু অনুমোদিত সংগঠনের সম্পাদক ইন্দ্রজিৎ ঘোষও ওই সংস্থার বিরুদ্ধে একই ধরনের অভিযোগ করেছেন। তাঁরাও ওই সংস্থাকে দাবিপূরণে চিঠি দিয়েছেন বলে জানান। এ দিন তিনি বলেন, ‘‘আমরা ওই আন্দোলনে নেই। তবে কেউ যোগ দিতে চাইলে দিতে পারেন।’’
সংস্থার তরফে এক মুখপাত্র জানান, পরিষেবা দিতে যাত্রীদের কাছে সংস্থা দায়বদ্ধ। পাশাপাশি, চালকেরা যাতে উপযুক্ত অর্থ আয় করতে পারেন, সে ব্যাপারেও সংস্থা সতর্ক থাকে। সংস্থাটি সরকারি নিয়ম মেনে চলে। কোনও অভিযোগ থাকলে চালকেরা স্থানীয় পরিষেবা কেন্দ্রে তা নিয়ে কথা বলতে পারেন। এসি বন্ধ থাকা নিয়ে যাত্রীদের থেকে নির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে তা খতিয়ে দেখা হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy