মৃত যুবক সম্রাট সরকার ওরফে বাপি। নিজস্ব চিত্র।
দফায় দফায় চেষ্টা চালিয়েও পাতকুয়োয় পড়ে যাওয়া যুবককে উদ্ধার করতে ব্যর্থ হয় দমকল, বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী এবং ডুবুরিরা। শেষমেশ পাতকুয়োর মিস্ত্রি মেঘনাদ সর্দারকে ডেকে এনে পড়ে যাওয়ার প্রায় ২০ ঘণ্টা পর শনিবার সকালে উদ্ধার করা হল বাঁশদ্রোণীর যুবক সম্রাট সরকার ওরফে বাপি (২৯)-র দেহ।
কলকাতা পুলিশ সূত্রে খবর, ওই পাতকুয়ো মিস্ত্রিকে সিভিক ভলান্টিয়ারের কাজ দেওয়া হবে। অন্য দিকে, বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীকে মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিল থেকে ৫০ হাজার টাকা দেওয়া হবে বলেও জানা গিয়েছে।
মৃতের পরিবারের অভিযোগ, পাতকুয়োর মিস্ত্রিকে যদি আগে আনা হত, তা হলে তাঁদের ছেলেকে বাঁচানো সম্ভব হত। কেন ডুবুরি নামানোর পরেও যুবককে উদ্ধার করা গেল না, তা নিয়েও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন স্থানীয়রা।
শুক্রবার দুপুরে বাড়ির সামনের একটি কুয়োতে স্নান করতে গিয়েছিলেন বাঁশদ্রোণীর সোনালি পার্ক এলাকার বাসিন্দা বাপি (২৯)। সেই সময় কোনও ভাবে পিছলে কুয়োতে পড়ে যান তিনি। পুলিশ জানিয়েছে, বাপি মৃগী রোগে আক্রান্ত ছিলেন। মাঝেমধ্যেই অসুস্থ হয়ে পড়তেন। পুলিশের প্রথামিক ধারণা, শুক্রবার স্নান করার সময় অসুস্থ হয়েই কুয়োয় পড়ে যান তিনি।
আরও পড়ুন: বছর শেষে কাঁপছে রাজ্য, কলকাতায় আজ মরসুমের শীতলতম দিন
বাপিকে উদ্ধার করতে ডাকা হয় দমকল বাহিনীকে। ছুটে আসে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী। নামানো হয় ডুবুরি। পাতকুয়ো থেকে জল বার করে বাপিকে উদ্ধারের চেষ্টা চালানো হয়। যে হেতু কুয়ো নিচু জায়গায় ছিল, তাই জল বার করতেই করতেই ফের জলস্তর বেড়ে যাচ্ছিল। রাতভর চেষ্টা চালিয়ে, চার বার ডুবুরি নামিয়েও উদ্ধার করা যায়নি ওই যুবককে। শেষে শনিবার সকালে ডাক পড়ে কুয়োমিস্ত্রির। সময় যত গড়াচ্ছিল বাপি বেঁচে আছেন কি না তা নিয়ে পরিবারের লোকজন ও স্থানীয়দের মধ্যে আশঙ্কা বাড়ছিল। আশঙ্কাটা শেষমেশ সত্যি হওয়ায় শোকের ছায়া এলাকায়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy