Advertisement
০৮ মে ২০২৪
Copronavirus in West Bengal

কোয়রান্টিনে যেতে রাজি নয় করোনায় মৃতের পরিবার

পুলিশ সূত্রের খবর, এ দিনই ওই বাড়ির এক সদস্যের মৃত্যু হয়েছে। তাঁর দেহ দাহও হয়ে গিয়েছে। পরে সন্ধ্যায় রিপোর্ট আসে তিনি কোভিড পজ়িটিভ ছিলেন।

ছবি: সংগৃহীত।

ছবি: সংগৃহীত।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৩ অগস্ট ২০২০ ০২:৪৮
Share: Save:

বাড়ির নীচেই দাঁড়িয়ে পুলিশ ও স্বাস্থ্য দফতরের গাড়ি। পরিবারের লোকেদের সমানে ডাকাডাকি করছেন কর্মীরা এবং পাড়ার বাসিন্দারা। নীচে নামা দূর, বাড়ির সদস্যেরা কেউ সাড়া পর্যন্ত দিচ্ছেন না! বুধবার রাতে এমন দৃশ্যেরই সাক্ষী থাকল মধ্যমগ্রামের দিগবেড়িয়া।

পুলিশ সূত্রের খবর, এ দিনই ওই বাড়ির এক সদস্যের মৃত্যু হয়েছে। তাঁর দেহ দাহও হয়ে গিয়েছে। পরে সন্ধ্যায় রিপোর্ট আসে তিনি কোভিড পজ়িটিভ ছিলেন। এর পরেই পরিবারের সদস্যদের কোয়রান্টিন কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করা হয়েছিল। কিন্তু পরিবারের সদস্যেরা রাজি না হওয়ায় শেষ পর্যন্ত তাঁদের হোম-কোয়রান্টিনে থাকার পরামর্শ দিয়ে ফিরে যান পুলিশ ও স্বাস্থ্য দফতরের কর্মীরা।

মধ্যমগ্রাম পুর কর্তৃপক্ষ এবং পুলিশ জানিয়েছে, ওই পরিবারের উপরে নজর রাখা হবে। পুলিশ জানিয়েছে, দিন কয়েক আগে অসুস্থ হন ওই বাড়ির সদস্য, ৪৭ বছরের এক ব্যক্তি। তাঁকে বারাসত জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তাঁর করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছিল। মঙ্গলবার ফের বেসরকারি একটি ল্যাবরেটরিতে তাঁর লালারস পরীক্ষা করানো হয়। বুধবার বেলার দিকে মৃত্যু হয় তাঁর। আগের রিপোর্টের ভিত্তিতে দুপুরে দেহ ছেড়ে দেওয়া হয়। সন্ধ্যায় দাহও হয়ে যায়। পরে পজ়িটিভ রিপোর্ট আসে।

ওই ঘটনা জানাজানি হওয়ার পরে স্থানীয় বাসিন্দারাও ওই পরিবারের সদস্যদের কোয়রান্টিনে পাঠানোর দাবি জানান। কিন্তু ঘণ্টা দুয়েকের চেষ্টা সত্ত্বেও বাড়ির কেউ নীচেই নামেননি! মধ্যমগ্রাম পুরসভার প্রশাসকমণ্ডলীর সদস্য নিমাই ঘোষ বলেন, “পরিবারের সদস্যদের করোনা পরীক্ষা হয়েছে। এখনও রিপোর্ট আসেনি। ওঁরা হোম-কোয়রান্টিনে থাকবেন বলেছেন।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Copronavirus in West Bengal Covid 19 Quarantine
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE