কসবা থানায় লাগানো সেই পোস্টার।
করোনার থেকে বাঁচতে বিভিন্ন থানায় বহিরাগতদের প্রবেশে রাশ টানা শুরু হয়েছে।
কসবা থানায় পার্কিং লটে চেয়ার-টেবিল পেতে বসে ডিউটি অফিসার সাহায্যপ্রার্থীদের সঙ্গে কথা বলছেন। রবিবার দেখা গেল, ওই থানার ভিতরে ও বাইরে ‘করোনা অ্যাফেক্টেড’ লেখা একটি পোস্টার লাগানো হয়েছে। পুলিশকর্মীরা জানান, সবাইকে সতর্ক করতেই ওই পোস্টার লাগানো হয়েছে। বিনা কারণে কেউ যাতে থানার ভিতরে প্রবেশ না করেন, তাই ওই ব্যবস্থা।
আবার নিউ আলিপুর থানায় দেখা গেল মূল গেট বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। পাশের একটি গেট দিয়ে থানায় আসা লোকজনকে একটি জায়গা পর্যন্ত ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে। এক জন করে পুলিশকর্মীকে নির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়েছে তাঁদের সঙ্গে কথা বলার জন্য।
আবার বেলেঘাটা এবং কালীঘাট থানায় দেখা গেল থানার একটি জানালার সামনে বসে ডিউটি অফিসার বাইরে নিরাপদ দূরত্বে দাঁড়ানো লোকজনের সঙ্গে কথা বলছেন।
অন্য দিকে করোনায় আক্রান্ত হয়ে গত সপ্তাহে মৃত্যু হয়েছে কলকাতা পুলিশের প্রাক্তন এক গোয়েন্দা প্রধানের স্ত্রীর। করোনায় আক্রান্ত হয়ে প্রাক্তন ওই গোয়েন্দাকর্তাও মধ্য কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
আরও পড়ুন: করোনা-ক্লান্তি নিয়ে রোগীর সংখ্যা ক্রমশ বাড়ছে
এ দিকে রবিবার চারু মার্কেট থানার তিন জন পুলিশকর্মী নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এই নিয়ে ওই থানার মোট ১০ জন পুলিশকর্মী আক্রান্ত হলেন। থানাগুলির মধ্যে কলকাতা পুলিশ এলাকার কসবা এবং গরফা থানায় সব চেয়ে বেশি পুলিশকর্মী করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন।
লালবাজার জানাচ্ছে, রবিবার পর্যন্ত কলকাতা পুলিশের ৭৬৯ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এখনও পর্যন্ত ৫৪৭ জন পুলিশকর্মী সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন বলে জানিয়েছেন পুলিশকর্তারা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy