শব্দদূষণ: ই এম বাইপাস সংলগ্ন বেসরকারি হাসপাতালের সামনেই লাগানো হয়েছে জগদ্ধাত্রী পুজো মণ্ডপের মাইক। ছবি: বিশ্বনাথ বণিক
অসুস্থকে দেখতে হাসপাতালে গিয়েছিলেন পরিবারের লোকেরা। রোগীর ঘরে ঢোকার মিনিট পাঁচেকের মধ্যেই মাইকের প্রবল আওয়াজ শুনে চমকে যান তাঁরা। হাসপাতালের ভিতরেই কি কেউ মাইক বাজাচ্ছে?
প্রশ্নের উত্তর মেলে খানিক পরেই। দেখা যায়, হাসপাতালের ভিতরে নয়, মাইকের ওই আওয়াজ আসছে বাইরের জগদ্ধাত্রী পুজোর মণ্ডপ থেকে। সেই শব্দই এসে যেন ধাক্কা মারছে হাসপাতালের ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে। যার জেরে মাঝেমধ্যেই ঘুম ভেঙে কেঁপে উঠছেন রোগীরা। কালীপুজো আর ছটপুজোয় শব্দের যে তাণ্ডব শহরকে সহ্য করতে হয়েছে, জগদ্ধাত্রী পুজো নিয়ে এখনও তেমন অভিযোগ ওঠেনি। তবে ইএম বাইপাস সংলগ্ন ওই বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রোগীদের বাড়ির লোকজনের অভিযোগ, মাইকের ওই আওয়াজে রোগীদের খুবই অসুবিধা হচ্ছে। তাতে অবশ্য ভ্রূক্ষেপ নেই পুজো উদ্যোক্তাদের।
হাসপাতালের পাশেই পাসপোর্ট অফিস। তারই সামনে গত মঙ্গলবার থেকে শুরু হয়েছে স্থানীয় একটি ক্লাবের জগদ্ধাত্রী পুজো। আর সেই উপলক্ষে ওই দিন থেকেই মাইক বাজিয়ে চলছে উৎসব পালন। কিন্তু হাসপাতাল লাগোয়া মণ্ডপে কী করে মাইক বাজাচ্ছেন উদ্যোক্তারা? তাঁদের তরফে উত্তম সাহা নামে এক জন বৃহস্পতিবার বলেন, ‘‘বক্সের আওয়াজ খুবই কমানো রয়েছে। হাসপাতালের ভিতরে যাওয়ার কথা নয়।’’ তবে পাশাপাশি তিনি স্বীকারও করেছেন যে, বুধবার এক জন এসে জানান, হাসপাতালের ভিতরে মাইকের আওয়াজ যাচ্ছে। তখন শব্দ কমিয়ে দেওয়া হয় বলে তাঁর দাবি।
একটি নয়, ওই পুজো মণ্ডপের আশপাশে রয়েছে মোট তিনটি হাসপাতাল। একটি দূরে হলেও দু’টি হাসপাতাল খুবই কাছে। যে হাসপাতালে রোগীদের সব থেকে বেশি অসুবিধা হয়েছে, সেখানকার জেনারেল ম্যানেজার শুভাশিস দত্ত জানান, ওয়ার্ডের ভিতরে আওয়াজ সাধারণত যাওয়ার কথা নয়। তবে কেউ অভিযোগ যখন করেছেন, তাঁরা খেয়াল রাখবেন। যদিও তাঁদের কাছে কোনও অভিযোগ আসেনি বলেই তিনি জানান।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy