প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির সঙ্গে আলাপচারিতায় অমিত মজুমদার। —নিজস্ব চিত্র।
পুর-নিবার্চন আসন্ন।
কিন্তু কংগ্রেসের ঘর গুছিয়ে ওঠা নিয়ে থেকেই গেল প্রশ্ন। প্রদেশ সভাপতির উপস্থিতিতেও সোমবার দলের দ্বন্দ্ব-দীর্ণ ছবিটা প্রকট হয়ে উঠল।
এ দিন বসিরহাটের ভ্যাবলা স্টেশন লাগোয়া মাঠে সভা করেন অধীর। সেখানে মুখ্যমন্ত্রীর ছবি-বিক্রির বিতর্ক থেকে সারদা কেলেঙ্কারি—বাদ যায়নি কিছুই। রাজ্য নিবার্চন কমিশনকেও তিনি ‘নখদন্তহীন’ বলে বিঁধতে কসুর করেননি।
কিন্তু শাসক দলকে আক্রমণের পাশাপাশি এ দিন তাঁর মিনিট পঁচিশের বক্তব্যে ধরা পড়েছে দলের গোষ্ঠী বিবাদের ছবিটা।
যেখানে তৃণমূলের আক্রমণের বিরুদ্ধে স্থানীয় বাসিন্দাদের রুখে দাঁড়াতে বলার পাশাপাশি দলীয় কর্মীদেরও ‘ঐক্যবদ্ধ’ হওয়ার পরামশর্ও সন্তর্পনে দিয়ে গিয়েছেন তিনি। এ রাজ্যে কংগ্রেসের অবস্থা যে বিশেষ ‘ভাল নয়’, কার্যত তা মেনে নিয়েই অধীর বলেন, ‘‘তৃণমূলের সন্ত্রাস আমরা রুখব। কংগ্রেসের ক্ষমতা কম হলেও এলাকার মানুষ সঙঘবদ্ধ হোন।রুখে দাঁড়ান।’’
এ দিন, এআইসিসি-র সদস্য তথা জেলা (গ্রামীণ) কংগ্রেসের সদ্য প্রাক্তন সভাপতি, অসিত মজুমদার ও তাঁর অনুগামী যে সব প্রার্থী পুর নিবার্চনে লড়াই করছেন, মঞ্চে দেখা যায়নি তাঁদের। সে ব্যাপারে অধীরের বক্তব্য, ‘‘নেতা না থাকলে কী হবে, নেতার ভাই অমিত তো এসেছিলেন। নেতা হয় তো অন্য কোনও কাজে ব্যস্ত আছেন।’’
সম্প্রতি অসিতবাবুকে সরিয়ে তাঁর ভাই অমিত মজুমদারকে জেলা কংগ্রেসের (গ্রামীণ) সভাপতি করায় অধীরবাবুর উপরে বেজায় চটেছেন অসিতবাবু। দল ছাড়ার হুমকিও দিয়েছিলেন তিনি। যদিও শেষ পর্যন্ত বসিরহাট পুরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ড প্রার্থী করে তাঁর দলত্যাগ রুখেছে দল। অসিতবাবু এ দিন বলেন, ‘‘মিটিং-মিছিলে ব্যস্ত ছিলাম, তাই প্রদেশ সভাপতির সভায় যেতে পারিনি।’’ দাদার অনুপস্থিতি আড়াল করতে ভাই অমিত সায় দিচ্ছেন, ‘‘সভায় দাদা না আসার কোনও কারণ খুঁজতে যাবেন না। আসলে পদযাত্রায় ব্যস্ত ছিলেন উনি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy