Advertisement
১১ মে ২০২৪
Coronavirus

২০ ভেন্টিলেটরের সুবিধা পান না করোনা রোগী

ডায়মন্ড হারবার ও কাকদ্বীপ— দু’টি মহকুমা নিয়ে তৈরি ডায়মন্ড হারবার স্বাস্থ্য জেলা। স্বাস্থ্য দফতরের দেওয়া হিসেব অনুযায়ী, স্বাস্থ্য জেলায় আক্রান্তের সংখ্যা ৮০০ ছাড়িয়েছে।

প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

দিলীপ নস্কর
ডায়মন্ড হারবার শেষ আপডেট: ০৪ অগস্ট ২০২০ ০৩:০৭
Share: Save:

এখনও পর্যন্ত করোনা আক্রান্তের সংখ্যা হাজার ছুঁই ছুঁই। নতুন করে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে হু হু করে। মৃত্যু হয়েছে বেশ কয়েকজনের। এই পরিস্থিতিতে ডায়মন্ড হারবার স্বাস্থ্য জেলায় আলাদা কোভিড হাসপাতাল না থাকা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন বিরোধীরা। এলাকায় কোভিড হাসপাতালের দাবি জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারাও।

ডায়মন্ড হারবার ও কাকদ্বীপ— দু’টি মহকুমা নিয়ে তৈরি ডায়মন্ড হারবার স্বাস্থ্য জেলা। স্বাস্থ্য দফতরের দেওয়া হিসেব অনুযায়ী, স্বাস্থ্য জেলায় আক্রান্তের সংখ্যা ৮০০ ছাড়িয়েছে। মৃত্যু হয়েছে ১৩ জনের। কয়েক দিন হল র‌্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্টও চালু হয়েছে এখানে। ফলে খুব তাড়াতাড়ি আক্রান্তের সংখ্যা অনেকটা বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন স্বাস্থ্য কর্তারা।

তবে তার মোকাবিলায় স্বাস্থ্য দফতরের হাতে রয়েছে ৫০টি করে শয্যায় তিনটি সেফ হোম। আপাতত কোনও রোগীর রিপোর্ট পজ়িটিভ এলে তাঁকে প্রাথমিক ভাবে বাড়িতেই নিভৃতবাসে থাকতে বলা হচ্ছে।

তবে গ্রামীণ এলাকায় অনেকেরই বাড়িতে আলাদা থাকার মতো পরিস্থিতি নেই। সে ক্ষেত্রে বাড়িতে থাকার পরিকাঠামো না থাকলে পাঠানো হচ্ছে সেফ হোমে।

উপসর্গহীন বা মৃদু উপসর্গযুক্ত রোগীদের জন্যই এই সেফ হোমের ব্যবস্থা চালু করেছে সরকার। কিন্তু কোনও রোগীর শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে কী হবে, সেই প্রশ্ন উঠছে। ডায়মন্ড হারবার স্বাস্থ্য জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক দেবাশিস রায় জানান, সে ক্ষেত্রে তাঁকে কলকাতার জোকা হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হচ্ছে। রোগী পরিবহণের জন্য সেফ হোমগুলিতে মজুত থাকছে অ্যাম্বুল্যান্স।

ডায়মন্ড হারবার মহকুমা হাসপাতাল-সহ স্বাস্থ্য জেলার বিভিন্ন হাসপাতাল মিলিয়ে প্রায় ২০টি ভেন্টিলেটর রয়েছে। কিন্তু সেগুলি করোনা আক্রান্তদের জন্য ব্যবহার করা হচ্ছে না। এই সব হাসপাতালে করোনা রোগীর চিকিৎসাই হচ্ছে না। এই পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্য জেলার মধ্যেই করোনা আক্রান্তদের চিকিৎসার আলাদা হাসপাতাল তৈরির দাবি তুলছেন বিরোধীরা। স্থানীয় বাসিন্দারাও চাইছেন এলাকায় আলাদা কোভিড হাসপাতাল হোক।

বিজেপির দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা সভাপতি অভিজিৎ দাস বলেন, “আলাদা কোভিড হাসপাতাল প্রয়োজন। রাজ্য সরকার কোভিড চিকিৎসার পরিকাঠামোই গড়ে তুলতে পারেনি। কেন্দ্রের টাকা এলেও রাজ্য তা কাজে লাগাচ্ছে না।”

ডায়মন্ড হারবারের বাসিন্দা সুকোমল দাস বলেন, “প্রত্যন্ত অনেক জায়গা থেকেই রোগীকে জোকায় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হচ্ছেয়। যা সমস্যাজনক। সে কথা ভেবেই এলাকায় কোভিড হাসপাতাল প্রয়োজন। কোনও হাসপাতালের কিছু শয্যা প্রশাসন কোভিড রোগীদের জন্য ব্যবহার করতে পারে।”

মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের কথায়, “আপাতত বাড়িতে বা সেফ হোমে রেখে চিকিৎসায় জোর দেওয়া হচ্ছে। তবে প্রয়োজন পড়লে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থাও থাকছে।”

(জরুরি ঘোষণা: কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীদের জন্য কয়েকটি বিশেষ হেল্পলাইন চালু করেছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। এই হেল্পলাইন নম্বরগুলিতে ফোন করলে অ্যাম্বুল্যান্স বা টেলিমেডিসিন সংক্রান্ত পরিষেবা নিয়ে সহায়তা মিলবে। পাশাপাশি থাকছে একটি সার্বিক হেল্পলাইন নম্বরও।

• সার্বিক হেল্পলাইন নম্বর: ১৮০০ ৩১৩ ৪৪৪ ২২২
• টেলিমেডিসিন সংক্রান্ত হেল্পলাইন নম্বর: ০৩৩-২৩৫৭৬০০১
• কোভিড-১৯ আক্রান্তদের অ্যাম্বুল্যান্স পরিষেবা সংক্রান্ত হেল্পলাইন নম্বর: ০৩৩-৪০৯০২৯২৯)

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Coronavirus Health Covid-19
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE