Advertisement
১১ মে ২০২৪
canning

কোন্দল ভুলে একই মঞ্চে দুই শিবিরের নেতারা

মঙ্গলবার ক্যানিংয়ে অবশ্য দেখা গেল অন্য ছবি। বাসস্ট্যান্ডে রাস্তার শিলান্যাস মঞ্চে এক সঙ্গে হাজির হলেন শৈবাল ও পরেশ। দু’পক্ষের অনুগামীদেরও দেখা গেল সেখানে। 

শৈবালকে মাইক এগিয়ে দিচ্ছেন পরেশ। ছবি: প্রসেনজিৎ সাহা

শৈবালকে মাইক এগিয়ে দিচ্ছেন পরেশ। ছবি: প্রসেনজিৎ সাহা

নিজস্ব সংবাদদাতা
 ক্যানিং শেষ আপডেট: ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২০ ০৪:২৭
Share: Save:

বিগত বিধানসভা ভোটের পর থেকেই ক্যানিংয়ে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে বিবাদ প্রকাশ্যে চলে আসে। ব্লক তৃণমূল সভাপতি শৈবাল লাহিড়ির সঙ্গে বিভিন্ন বিষয়ে মতভেদ হয় ব্লক যুব তৃণমূল সভাপতি পরেশরাম দাসের। এই দুই গোষ্ঠীর তৃণমূল কর্মীদের মধ্যেও শুরু হয় রেষারেষি। মাঝে মধ্যেই অশান্তিতে জড়িয়ে পড়ে দু’পক্ষ। কয়েক দিন আগেও একাধিক সংঘর্ষ, ঝামেলায় জড়িয়েছে দুই পক্ষ।
মঙ্গলবার ক্যানিংয়ে অবশ্য দেখা গেল অন্য ছবি। বাসস্ট্যান্ডে রাস্তার শিলান্যাস মঞ্চে এক সঙ্গে হাজির হলেন শৈবাল ও পরেশ। দু’পক্ষের অনুগামীদেরও দেখা গেল সেখানে।
ক্যানিং বাসস্ট্যান্ড থেকে কাঠপোল পর্যন্ত প্রায় পাঁচ কিলোমিটার রাস্তা অনেক দিন ধরেই খারাপ। ছ'মাস আগে রাস্তা মেরামতের জন্য টেন্ডার হলেও কাজ শুরু হয়নি। সম্প্রতি সে খবর প্রকাশিত হয়েছিল সংবাদপত্রে। এরপরেই নড়েচড়ে বসে প্রশাসন। দ্রুত রাস্তা সংস্কারের কাজে হাত দেওয়া হবে বলে জানানো হয় প্রশাসনের তরফ থেকে। মঙ্গলবার সেই রাস্তার শিলান্যাস অনুষ্ঠান ছিল।
এ দিন শৈবাল, পরেশ ছাড়াও অনুষ্ঠানে এসেছিলেন স্থানীয় বিধায়ক শ্যামল মণ্ডল, যিনি শৈবাল-গোষ্ঠীর বলেই পরিচিত। সকলের সামনে একাধিকবার পরেশ ও শৈবালকে কথা বলতে দেখা যায়। তৃণমূল নেতৃত্ব জানান, ৩ কোটি ৫৭ লক্ষ টাকা ব্যয়ে এই রাস্তা তৈরি হবে। আগামী ছ’মাসের মধ্যে কাজ শেষ হবে।
এ দিন মঞ্চ থেকে বিধায়ক বলেন, ‘‘নিজেদের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝিকে দূরে সরিয়ে রেখে এলাকার উন্নয়নের জন্য সকলকে এগিয়ে আসতে হবে। মানুষকে পরিষেবা দিতে হবে।’’ শৈবাল বলেন, ‘‘এলাকার মানুষের দীর্ঘ দিনের চাহিদা ছিল এই রাস্তা। সকলের সহযোগিতা ছাড়া এই রাস্তা হওয়া সম্ভব নয়। নিজেদের মধ্যে যা-ই ভুল বোঝাবুঝি থাকুক না কেন, এলাকার উন্নয়ন আমাদের কাছে সকলের আগে। তাই সব ভেদাভেদ ভুলে আমরা উন্নয়নে সামিল হয়েছি।’’ পরেশ বলেন, ‘‘সম্প্রতি দল আমায় জেলার কোঅর্ডিনেটর হিসেবে দায়িত্ব দিয়েছে। এলাকায় দলের সংগঠনকে আরও মজবুত করার দায়িত্ব আমার কাঁধে। তাই নিজেদের মধ্যে যা-ই মতভেদ থাকুক না কেন, সব ভুলে আমরা এক সঙ্গে উন্নয়ন করব। বিজেপির মতো দলের বিরুদ্ধেও ঐক্যবদ্ধ ভাবে লড়াই করব।"
একই মঞ্চে তৃণমূলের দু’পক্ষকে দেখে অবশ্য কটাক্ষই করেছেন দক্ষিণ ২৪ পরগনা পূর্ব জেলার বিজেপি সভাপতি হরিকৃষ্ণ দত্ত। তিনি বলেন, ‘‘আগামী বিধানসভা ভোটে বিজেপির কাছে নিজেদের হার নিশ্চিত ভেবেই তৃণমূলের সব পক্ষ এক হয়েছে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Canning TMC
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE