Advertisement
২৭ এপ্রিল ২০২৪

ময়নাতদন্তের রিপোর্ট মিলতেই ধরা পড়ল ছেলে

বাবাকে কুপিয়ে খুনের পর ঘটনাটি আত্মহত্যা বলে দাবি করেছিল ছেলে। কিন্তু শেষ রক্ষা হল না। ময়না তদন্তের রিপোর্ট পুলিশের হাতে পড়তেই সব পরিষ্কার হয়ে গেল। 

ধৃত: লাল্টু সিংহ

ধৃত: লাল্টু সিংহ

নিজস্ব সংবাদদাতা 
বসিরহাট শেষ আপডেট: ২৩ এপ্রিল ২০১৯ ০৪:১৫
Share: Save:

বাবাকে কুপিয়ে খুনের পর ঘটনাটি আত্মহত্যা বলে দাবি করেছিল ছেলে। কিন্তু শেষ রক্ষা হল না। ময়না তদন্তের রিপোর্ট পুলিশের হাতে পড়তেই সব পরিষ্কার হয়ে গেল।

ওই রিপোর্টে চিকিৎসক খুনের কথা উল্লেখ করেছেন। এরপরেই রবিবার রাতে পুলিশ ছেলেকে গ্রেফতার করে। পুলিশ জানিয়েছে, ছেলের নাম লাল্টু সিংহ। তাকে বসিরহাটের মাটিয়ার ধান্যকুড়িয়ায় তার বাড়ির থেকেই ধরা হয়।

পুলিশ জানিয়েছে, ৩ এপ্রিল স্থানীয় ধান্যকুড়িয়ার পূর্ব নেহালপুর গ্রামের বাসিন্দা স্বর্ণ ব্যবসায়ী কার্তিক সিংহের (৬০) দেহ তাঁরই বাড়ি থেকে উদ্ধার হয়। বাবা আত্মহত্যা করেছে বলে দাবি করে লাল্টু। ময়না তদন্তের রিপোর্ট জানার পর মৃতের ভাই দেবাশিস সিংহ থানায় অভিযোগ করেন। তারই ভিত্তিতে পুলিশ লাল্টুকে গ্রেফতার করে। সোমবার তাকে বসিরহাটের এসিজেএম আদালতে তোলা বলে বিচারক তিন দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেন।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই এলাকাতেই সোনার দোকান কার্তিকের। তাঁর দুই ছেলে লাল্টু ও শুভজিৎ। ঘটনার দিন দুপুরে বাড়িতে কার্তিকের মাথা ফাটা ও গলা কাটা দেহ মেলে। স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসক মৃত বলে ঘোষণা করেন। লাল্টুর দাবি, বাবা নার্ভের রোগে ভুগছিলেন। যন্ত্রণা সহ্য করতে না পেরে দা দিয়ে মাথা ও গলায় আঘাত করে আত্মঘাতী হন। ঘটনাস্থল থেকে একটি রক্ত মাখা দা উদ্ধার করা হয়। ঘটনাস্থল ঘুরে পুলিশের সন্দেহ হয়। কিন্তু সে সময়ে প্রাথমিক ভাবে একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করে পুলিশ।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের পর পুলিশের দাবি, বাবা ও ছেলে দু’জনে সোনার দোকান চালাতেন। লাল্টু বিবাহিত। সে যে পরিমাণ টাকা চাইত তা পেত না। সেই রাগ থেকেই লাল্টু এই খুন করেছে বলে পুলিশের দাবি। ঘটনার দিন বাড়িতে মা, লাল্টুর স্ত্রী ও ভাই শুভজিৎ ছিলেন না। তাঁরা মন্দিরে গিয়েছিলেন।

পুলিশকে লাল্টু জানিয়েছে, বাবা বাড়ি ফিরলে ধারাল অস্ত্র নিয়ে তাঁর উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে লাল্টু। ঘাড়ে-মাথায় কোপ মারে তাঁর। এরপর চিৎকার করে স্থানীয়দের ডেকে সে বলে, ‘‘অসুস্থতার কারণে বাবা আত্মহত্যা করেছেন।’’ কিন্তু লাল্টুর কথা শুনে পুলিশের সন্দেহ হয়।

পুলিশ জানায়, মাথায় আঘাতের পর গলা কাটার চেষ্টা করা একজনের পক্ষে অসম্ভব। ময়না তদন্তের রিপোর্ট হাতে পেতেই পুলিশের কাছে সব কিছু পরিষ্কার হয়ে যায়।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Crime Murder Arrest
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE