Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪

ডেঙ্গি-আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে ভাঙড়ের গ্রামে

জ্বরের প্রকোপের পাশাপাশি ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যাও বাড়তে থাকায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে সাধারণ মানুষের মধ্যে। মরিচা গ্রামে যে ভাবে ডেঙ্গি ধরা পড়ছে, তাতে প্রশাসনিক মহলে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে।

পরিদর্শন: হাসপাতালে মহকুমাশাসক। নিজস্ব চিত্র

পরিদর্শন: হাসপাতালে মহকুমাশাসক। নিজস্ব চিত্র

সামসুল হুদা 
ভাঙড় শেষ আপডেট: ২৮ অগস্ট ২০১৯ ০২:১২
Share: Save:

ক’দিন আগেও ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ১৭ জন। এখন তা বেড়ে হয়েছে ২০। ভাঙড় ১ ব্লকের প্রাণগঞ্জ পঞ্চায়েতের মরিচা গ্রামে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা লাফিয়ে বাড়ছে। মঙ্গলবার সকালে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে নলমুড়ি ব্লক হাসপাতালে আসেন মহকুমাশাসক দেবারতি সরকার-সহ একটি প্রশাসনিক দল।

জ্বরের প্রকোপের পাশাপাশি ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যাও বাড়তে থাকায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে সাধারণ মানুষের মধ্যে। মরিচা গ্রামে যে ভাবে ডেঙ্গি ধরা পড়ছে, তাতে প্রশাসনিক মহলে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে এ দিন তাই নলমুড়ি ব্লক হাসপাতালে আসেন মহকুমাশাসক, মহকুমা স্বাস্থ্য আধিকারিক মৃদুল ঘোষ, ভাঙড় ১-এর বিডিও সৌগত পাত্র, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি শাজাহান মোল্লা প্রমুখ। ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক অনিমেষ হোড় তাঁদের হাসপাতাল ঘুরিয়ে দেখান। মহকুমাশাসক হাসপাতালে ভর্তি থাকা ডেঙ্গি আক্রান্তদের সঙ্গে কথা বলেন। পরে প্রশাসনের কর্তারা মরিচা গ্রামেও যান। কয়েকটি বাড়িতে গিয়ে জ্বরে আক্রান্তদের সঙ্গে কথা বলেন। গ্রামবাসীদের নিয়ে সচেতনতামূলক একটি আলোচনাসভাও করেন তাঁরা।

দেবারতি বলেন, ‘‘মরিচা গ্রামে বেশ কিছু মানুষের ডেঙ্গি ধরা পড়েছে। প্রশাসনিক ভাবে সব রকম ব্যবস্থা করা হয়েছে। মানুষকেও সচেতন করা হচ্ছে। এর মধ্যে অনেকেই সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন।’’

ভাঙড় ১ ব্লকের মরিচা গ্রামে শতাধিক মানুষ জ্বরে আক্রান্ত। ব্লক হাসপাতালের পাশাপাশি গ্রামের স্বাস্থ্য শিবিরেও ভিড় জমাচ্ছেন রোগীরা। ব্লক স্বাস্থ্যকর্মীরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে রক্তের নমুনা সংগ্রহ করছেন। যাঁদের ডেঙ্গির জীবাণু মিলছে তাঁদের প্রয়োজনীয় চিকিৎসার ব্যবস্থাও করা হচ্ছে। প্রশাসন সূত্রে জানানো হয়েছে, ভাঙড় ২ ব্লক এলাকাতেও ডেঙ্গির প্রকোপ দেখা দিয়েছে। সেখানে এখনও পর্যন্ত ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা ৩৭।

ডেঙ্গি মোকাবিলায় প্রশাসনিক ভাবে ব্লক এলাকার বিভিন্ন গ্রামে আবর্জনা পরিষ্কার করার পাশাপাশি, জমা জল সরিয়ে ফেলা হচ্ছে। ব্লিচিং ছড়ানো, কীটনাশক স্প্রে-র পাশাপাশি মশা মারতে ফগিং মেশিনও ব্যবহার করা হচ্ছে। বিভিন্ন গ্রামে সচেতনতামূলক শিবির করা হচ্ছে। মরিচা গ্রামে পঞ্চায়েতের উদ্যোগে মশারিও বিতরণ করা হয়েছে।

মহকুমা স্বাস্থ্য আধিকারিক বলেন, ‘‘এখনও পর্যন্ত ভাঙড় ব্লক এলাকায় ডেঙ্গি আক্রান্তের কারও মৃত্যুর খবর নেই। স্বাস্থ্য দফতরের পক্ষ থেকে গ্রামে স্বাস্থ্যশিবির চলছে। আমাদের কর্মীরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে পরিস্থিতির উপর নজর রাখছেন।’’

তিনি আরও বলেন, ডেঙ্গি মশার হাত থেকে বাঁচতে অবশ্যই মশারি টাঙিয়ে ঘুমোতে হবে। খালি গায়ে ঘুরে বেড়ালে হবে না। এই সময়ে ফুলহাতা জামা পরা বাঞ্ছনীয়।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Health Dengue Bhangar Mosquito
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE