Advertisement
১০ মে ২০২৪

ভোটের দিনের ঝামেলার আঁচ পড়ল না পুনর্নির্বাচনে

বিরোধীরা দাবি করেছিলেন ছাপ্পা ভোট হয়েছে একশোটিরও বেশি বুথে। ব্যারাকপুর শিল্পাঞ্চলের ১৫টি পুরসভার এই বুথগুলিতে পুনর্নির্বাচন দাবি করে নির্বাচন কমিশনে জানিয়েছিল সিপিএম, কংগ্রেস, বিজেপি-সহ বিরোধীরা। শেষ পর্যন্ত পুনর্নির্বাচন হল তিনটি পুরসভার মোট ৫টি ওয়ার্ডে।

নিজস্ব সংবাদদাতা
ব্যারাকপুর শেষ আপডেট: ২৮ এপ্রিল ২০১৫ ০১:১১
Share: Save:

বিরোধীরা দাবি করেছিলেন ছাপ্পা ভোট হয়েছে একশোটিরও বেশি বুথে। ব্যারাকপুর শিল্পাঞ্চলের ১৫টি পুরসভার এই বুথগুলিতে পুনর্নির্বাচন দাবি করে নির্বাচন কমিশনে জানিয়েছিল সিপিএম, কংগ্রেস, বিজেপি-সহ বিরোধীরা।

শেষ পর্যন্ত পুনর্নির্বাচন হল তিনটি পুরসভার মোট ৫টি ওয়ার্ডে। তবে বিরোধীদের অভিযোগের ভিত্তিতে নয়, যে বুথগুলিতে শনিবার ভোট চলাকালীন ইভিএম মেশিন ভাঙচুর হয়েছিল এবং তার মধ্যে যেগুলির কন্ট্রোল ইউনিট কাজ করেনি সেগুলিতেই এ দিন পুনর্নির্বাচন হয়েছে। ব্যারাকপুরের মহকুমাশাসক তথা নির্বাচনী আধিকারিক পূর্ণেন্দুকুমার মাজি বলেন, ‘‘কন্ট্রোল ইউনিট নষ্ট হয়ে গেলে যে ক’টি ভোট পড়েছিল তা আর বোঝার উপায় থাকে না। তাই পুনর্নির্বাচন করতেই হত।’’

টিটাগড়ের ২টি ওয়ার্ডের মোট ৫টি বুথ, গারুলিয়ার ১টি ওয়ার্ডের ২টি বুথ এবং ভাটপাড়ার ২টি ওয়ার্ডের ৫টি বুথে সোমবার সকাল থেকেই ছিল রাজ্য পুলিশ ও প্রশাসনের কড়া নিরাপত্তা। ভোট কেন্দ্রের ২০০ মিটারের মধ্যে বেলা ৩টে পর্যন্ত টুঁ শব্দ করার সুযোগ পায়নি কেউ।

ভোটের দিন দু’কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী, রাজ্য পুলিশ টহল দিয়েও অভিযোগ এবং গণ্ডগোলের শেষ ছিল না। কিন্তু পুনর্নির্বাচনের সকাল থেকে ভোটকেন্দ্রে বসে থাকা ডিএসপি, এসপি পদ মর্যাদার আধিকারিকদের সামনে দিয়ে যেমন ছাপ্পা ভোট দিতে যাওয়ার সাহস কেউ দেখায়নি। দিনের শেষে ভোটের হারেও বিশেষ হেরফের হয়নি। ১৫টি বুথে গড় ভোট পড়েছে ৬৮.২৭ শতাংশ। গাড়ুলিয়াতে ১৯ নম্বর ওয়ার্ডে ৫৪ ও ৫৫ নম্বর বুথের ভোটকেন্দ্র ছিল গারুলিয়া বালিকা বিদ্যালয়ে। সকা‌ল থেকে তেমন ভিড়ও ছিল না দু’টি বুথের কোনওটিতেই। বিরোধীরা এ দিনও অভিযোগ করতে থাকেন, ভোটারদের বাড়ি থেকেই বেরোতে দেওয়া হচ্ছে না। ভোটকেন্দ্রের বাইরে কিছুটা দূরে জটলা করে থাকা লোকজনের দিকে লাঠি উঁচিয়ে তেড়ে যায় পুলিশ। বেলা সাড়ে ১২টার পর থেকে ভোটের লাইন স্বাভাবিক হয়। টিটাগড়েও এ দিন পুলিশ দু’একবার লাঠি উঁচিয়ে এগিয়ে যাওয়ার পরে আর কেউ জটলা করার সাহস পায়নি।

ভাটপাড়ার ১৬ ও ৩৫ নম্বর ওয়ার্ডের দু’টিতেই নির্দলের আধিক্য বেশি। ভাটপাড়ায় ১৬ নম্বর ওয়ার্ডে অ্যালায়েন্স জুট মিলে শুধু ১৪৫ নম্বর বুথেই এ দিন পুনর্নির্বাচন হয়। ৩৫ নম্বর ওয়ার্ডের ৭টি বুথের ভোট হয় স্থিরপাড়া জুনিয়র হাইস্কুল, নিরঞ্জননগর প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং শ্রীরামপুর কৃষ্ণচন্দ্র প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। টিটাগড়ে ১৫ নম্বর বুথের বাইরে নির্বাচনী পর্যবেক্ষক নিজে চেয়ার পেতে বসেছিলেন সারা দিন ধরে। ১৬ নম্বর ওয়ার্ডে তৃণমূল প্রার্থী পরমেশ্বর মোহান্তি ও বিজেপি প্রার্থী সন্তোষকুমার দুবেকে এ দিন ভোট শেষে এক সঙ্গে খোসগল্প করতে করতে চা খেতেও দেখা যায়।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE