Advertisement
১১ মে ২০২৪

নিকাশির সমস্যা মিটবে কবে

সম্প্রতি আনন্দবাজারের পাঠকদের মুখোমুখি হয়েছিলেন ক্যানিং এক নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি পরেশরাম দাস। বাসিন্দাদের নানা দাবিদাওয়ার বিষয় উঠে এল আলোচনায়। সঞ্চালনায় সামসুল হুদা।

রাস্তায় বাজার। নিজস্ব চিত্র।

রাস্তায় বাজার। নিজস্ব চিত্র।

শেষ আপডেট: ০৯ ডিসেম্বর ২০১৬ ০১:৫১
Share: Save:

ক্যানিঙের নিকাশি ব্যবস্থা খুব খারাপ। সামান্য বর্ষাতে বিভিন্ন এলাকা জলে ডুবে থাকে। এই সমস্যা কী মিটবে?

যাদব বৈদ্য, শিক্ষক

সভাপতি: ক্যানিং অত্যন্ত পুরনো শহর। এটা সত্যিই খুব বড় সমস্যা। বিগত সরকারেরে আমলে নিকাশি ব্যবস্থা নিয়ে কোনও কাজ হয়নি। আমরা ক্ষমতায় আসার পর বিভিন্ন নিকাশি নালাগুলি সংস্কার করার চেষ্টা করেছি। সম্প্রতি সুন্দরবন উন্নয়ন পর্ষদের টাকা ক্যানিং বাসস্ট্যান্ড থেকে মিলন সঙ্ঘ ক্লাব ও ক্যানিঙের পুরনো বিডিও অফিস থেকে ক্যানিং বাসস্ট্যান্ড পর্যন্ত হাই ড্রেন তৈরির কাজ শুরু হওয়ার পথে। এই দুটি ড্রেন তৈরি হলে সমস্যা কিছুটা সমধান হবে বলে মনে হয়।

ক্যানিঙে বাস টার্মিনাস নেই। যানজট ক্যানিঙে বড় সমস্যা। যানজটের কবলে পড়ে হয়রানি যেন রোজনামচা হয়ে দাঁড়িয়েছে।

সঞ্জিত পাল, গোয়ালাপাড়া

সভাপতি: ক্যানিঙের অপরিসর জায়গার কারণে যানজট হয় ঠিকই। তবে প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলে রাস্তার যানজট সামলাতে সিভিক ভলান্টিয়ার্স নিয়োগ করায় কিছুটা সমাধান হয়েছে। তবে যানজট কমাতে মাতলা নদীর চরে ৬ কোটি টাকা ব্যয়ে আধুনিক মানের বাস টার্মিনাস তৈরির কাজ শুরু হয়েছে।

মাতলা ২ পঞ্চায়েত এলাকার থুমকাঠি থেকে কলোনি রাস্তাটি খুবই খারাপ। সংস্কার কবে হবে?

সমীর সাহা, রিক্সাচালক

সভাপতি: আমরা মাতলা-২ গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার প্রায় সব রাস্তাই কংক্রিটের তৈরf করে দিয়েছি। এটা ঠিক যে ওই রাস্তাটি খারাপ। ওই রাস্তার কাজ শুরু করা হবে।

নিকারিঘাটা গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার আমি একজন গরিব মানুষ। আমার মাটির বাড়িটি ভেঙে পড়েছে। সরকারি কোনও সাহায্য পায়নি। এ বিষয়ে আপনার কী মত?

সুন্দর সর্দার, কিক্সা চালক

সভাপতি: আমার সঙ্গে আগে যোগাযোগ করলে ঘর করে দিতাম। আপনার যদি খাদ্য সুরক্ষা নামের তালিকায় নাম থাকে তা হলে ১.২০ লক্ষ টাকা দিয়ে ঘর তৈরি করে দেব। না হলে ১-২ দিনের মধ্যে গীতাঞ্জলি প্রকল্পে ঘর তৈরি করে দেওয়া হবে।

দিঘিরপাড় পঞ্চায়েত এলাকায় অধিকাংশ বাড়িতে শৌচালয়ের সমস্যা রয়েছে। এর প্রতিকার কী?

রাজ্জাক তরফদার, সমাজসেবী

সভাপতি: ক্যানিং ১ ব্লককে নির্মল বাংলা গড়ার লক্ষ্যে ও উন্মুক্ত শৌচবিহীন করার লক্ষ্যে প্রত্যেকটি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় যে সব বাড়িতে শৌচালয় নেই, সে সব বাড়িতে শৌচালয় তৈরি করে দেওয়া হচ্ছে। খুব শীঘ্র ক্যানিং ১ ব্লককে নির্মল ব্লক ঘোষণা করার লক্ষ্য নেওয়া হয়েছে।

ক্যানিঙে বহু প্রতিভাবান ফুটবলার রয়েছে। তাদের খেলাধুলা করার মাঠ নেই। স্টেডিয়াম তৈরি হয়েও পড়ে। এর সমাধান কী?

সুকুমার দাস, ফুটবলপ্রেমী

সভাপতি: খেলার মান উন্নয়নের জন্য ক্যানিং স্টেডিয়াম তৈরি করা হয়েছে। এই ডিসেম্বরেই ওই স্টেডিয়াম উদ্বোধন করা হবে। আসলে মুখ্যমন্ত্রী নানা কাজে ব্যস্ত থাকায় উদ্বোধন করা যায়নি।

ক্যানিঙের বিভিন্ন সরকারি খাস জায়গা দখল করে দোকান, ঘর তৈরি করা হচ্ছে। যার কারণে মানুষকে বেশ সমস্যায় পড়তে হয়।

শেখ মজুর, ব্যবসায়ী

সভাপতি: দীর্ঘদিন ধরে খাস জায়গা জবর দখল করে ঘর, দোকান তৈরি করার প্রবণতা ক্যানিঙের মানুষের রয়েছে। তবে প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলে কী ভাবে সরকারি খাস জমি দখলমুক্ত করা যায় তা দেখা হচ্ছে।

মাতলা ১ পঞ্চায়েত এলাকায় একটি অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র রয়েছে। বাকিগুলি হয় লোকের বাড়িতে, না হলে কোনও ক্লাব বা মন্দির চত্বরে চলে। এই সমস্যা কবে মিটবে?

সুমনা মণ্ডল, অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী

সভাপতি: জমি একটা বড় সমস্যা। মাতলা ১ গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধানকে বলব সরকারি খাস জমি দেখার জন্য। জমি পেলে প্রতিটি অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের জন্য ১০ লক্ষ টাকা দিয়ে ঘর তৈরি করে
দেওয়া হবে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

drainage problem
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE