প্রতীকী ছবি।
আগের দু’দিনের মতো বুধবার সাপ্তাহিক ‘লকডাউন’ কড়া হাতে নিয়ন্ত্রণ করল পশ্চিম বর্ধমান জেলা পুলিশ-প্রশাসন। এ দিন সকাল থেকেই দুর্গাপুর ও আসানসোল মহকুমার বিভিন্ন প্রান্তে ব্যাপক পুলিশি নজরদারি ছিল। এমনিতে আগের দিনের তুলনায় রাস্তায় লোকজন বেরিয়েছিলেন কম। তবে ‘লকডাউন’ অমান্য করে কেউ কেউ পুলিশের রোষে পড়েন। আসানসোল-দুর্গাপুর কমিশনারেট সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন ‘মাস্ক’ না পরা ও ‘লকডাউন’ অমান্য করার অভিযোগে জেলা জুড়ে ১৯১ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। দুর্গাপুর মহকুমার আটটি থানা এলাকা থেকে মোট ৭৮ জন গ্রেফতার হয়।
কমিশনারেটের ডিসি (পূর্ব) অভিষেক গুপ্ত বলেন, ‘‘মাইকিং করে মানুষজনকে সচেতন করার পাশাপাশি, কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। ‘লকডাউন’ মানতেই হবে সকলকে।’’
এ দিন সকালেই কাঁকসা থানার বামুনাড়া, আড়রা প্রভৃতি জায়গায় অভিযান চালায় পুলিশ। এই সব এলাকা থেকে প্রায় ২৫ জনকে আটক করা হয়। দুর্গাপুর শহরের বিভিন্ন জায়গায় সকাল থেকে মাইকে প্রচার করে ‘লকডাউন’ মেনে বাড়িতে থাকার আর্জি জানানো হয় বাসিন্দাদের। অযথা পুলিশ যে কাউকে হেনস্থা করতে চায় না, তা-ও বারবার মনে করিয়ে দেওয়া হয়।
বুধবার সকাল থেকে আসানসোল শিল্পাঞ্চলের সর্বত্র পুলিশি তৎপরতাও ছিল চোখে পড়ার মতো। সম্প্রতি বারাবনির রুনাকুড়া ঘাটে অজয় নদের তীরে পুলিশের একটি স্থায়ী নাকা ‘চেকপয়েন্ট’ করা হয়েছে। এ দিন সেখানে কর্তব্যরত পুলিশকর্মীরা গার্ডরেল দিয়ে দু-প্রান্তের যাতায়াত একেবারেই বন্ধ রেখেছিলেন। পশ্চিমবঙ্গ-ঝাড়খণ্ড সীমানার বরাকর, ডুবুরডিহি, রূপনারায়ণপুর চেকপোস্ট এ দিনও পুরোপুরি বন্ধ রাখা হয়েছিল। তবে নিত্য প্রয়োজনীয় ও জরুরি গাড়িগুলিকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। জেলাশাসক পূর্ণেন্দু মাজি বলেন, ‘‘এ দিনের ‘লকডাউন’-ও সফল হয়েছে। করোনার সংক্রমণ থেকে রক্ষা পেতে সরকারি নির্দেশ প্রত্যেকের মেনে চলা উচিত।’’ তবে জেলার বাসিন্দাদের একাংশের আশঙ্কা আজ, বৃহস্পতিবার সকাল থেকে বাজার-দোকানে ফের দ্বিগুণ ভিড় হবে। লঙ্ঘিত হবে স্বাস্থ্য ও দূরত্ববিধি। মহকুমাশাসক (আসানসোল) দেবজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় জানান, সাপ্তাহিক ‘লকডাউন’-এর পাশাপাশি, আসানসোল মহকুমার ৬৭টি বাজারের সমস্ত দোকান দুপুর ১টা পর্যন্তই খোলা থাকবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy