‘লকডাউন’-এ সর্বমঙ্গলা মন্দির। নিজস্ব চিত্র
ধর্মস্থান খোলা যাবে ১ জুন সকাল ১০টার পর থেকে, ছাড়পত্র দিয়েছে রাজ্য সরকার। এর পরেই প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে পূর্ব বর্ধমানের নানা মন্দির, মসজিদ, গির্জায়। জীবাণুনাশক ‘স্প্রে’ করা থেকে ভিড় এড়ানো নিয়ে ভাবনাচিন্তা, শুরু হয়ে গিয়েছে সতর্কতামূলক নানা পরিকল্পনা।
বর্ধমানের সর্বমঙ্গলা মন্দির কমিটির তরফে সঞ্জয় ঘোষ শনিবার জানান, ১ জুন থেকে মন্দির খোলা হবে। মন্দির বন্ধ থাকলেও নিয়মিত পরিষ্কার করা হয়। তবে এখন এক বার ‘স্যানিটাইজ়’ করার জন্য বলা হয়েছে পুরসভাকে। যে সব উৎসব উপলক্ষে পুণ্যার্থীদের ভিড় হয়, সেই সময়ে কী ভাবে জমায়েত নিয়ন্ত্রণ করা যাবে, সে নিয়ে পুলিশ-প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা করা হবে বলে জানান তিনি।
কাটোয়ার খেপিমা মন্দির, ঘোষেশ্বরতলা শিবমন্দির, হাঁড়িমা দুর্গামন্দির, হনুমান মন্দিরগুলির পরিচালন কমিটির তরফে এ দিন জানানো হয়, তারাও সোমবার থেকে মন্দির খোলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। তবে সরকারি নির্দেশ মতো দশ জনের বেশি ঢুকতে দেওয়া হবে না। দর্শনার্থীদের অবশ্যই ‘মাস্ক’ পরে আসতে হবে।
কালনার ১০৮ শিবমন্দির-সহ রাজবাড়ি চত্বরের সমস্ত মন্দির রয়েছে পুরাতত্ত্ব সর্বেক্ষণের অধীনে। মন্দির দেখভালের দায়িত্বপ্রাপ্ত এক আধিকারিক বলেন, ‘‘মন্দিরগুলি রক্ষণাবেক্ষণের কাজ যেমন চলছিল, এখনও সে ভাবেই চলছে। তবে মন্দির খোলা হবে কি না, সে বিষয়ে কোনও নির্দেশ দফতরের তরফে এখনও আমাদের কাছে আসেনি। যেমন নির্দেশ আসবে, তেমন পদক্ষেপ করা হবে।’’
কালনা শহরের প্রাচীন দাঁতকাঠিতলা মসজিদের পরিচালনা করে কালনা আনজুমান কমিটি। সেটির সভাপতি শাহনওয়াজউদ্দিন মণ্ডল জানান, রাজ্য সরকারের নির্দেশ মতো ব্যবস্থা নিয়েই মসজিদ খোলা হবে। বর্ধমানের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের সোলাপুর মসজিদ সূত্রে জানা গেছে, সেখানে বড় জমায়েত হয় শুক্রবার নমাজের সময়ে। কী ভাবে তা সামাল দেওয়া যাবে, সে বিষয়ে প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে।
বর্ধমানের এক গির্জার তরফে জানানো হয়েছে, প্রতি রবিবার সেখানে প্রার্থনা হয়। সামনের সপ্তাহে রবিবার থেকে সেই প্রার্থনা শুরু হবে। তবে সব বিধিনিষেধ মেনে চলা হবে বলে গির্জার তরফে বিধান মল্লিক জানান।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy