বৈঠকে উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ। ছবি: বিশ্বরূপ বসাক
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পথে হেঁটেই উন্নয়নের সব প্রকল্পের কাজে গতি বাড়াতে উত্তরের ৭ জেলার জেলা শাসকদের বাড়তি সহযোগিতা চাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ। মঙ্গলবার শিলিগুড়িতে উত্তরকন্যা দফতরের নানা প্রকল্পের কাজের বর্তমান পরিস্থিতি খতিয়ে দেখার পরে অফিসারদের কাছে এমনই মত প্রকাশ করেছেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী। কারণ, তিনি জানতে পেরেছেন, ৭ জেলায় অন্তত ৩০ টির মতো কাজ নানা কারণে থমকে রয়েছে। উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী বলেন, “মঙ্গলবার দফতরের আধিকারিকদের নিয়ে রিভিউ মিটিং করেছি। বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। বুধবার সাত জেলার জেলাশাসকদের নিয়ে বৈঠক করব। উন্নয়নের ব্যাপারে প্রস্তাব জমা দিতে বলার পাশাপাশি জেলাশাসকদের কাছে বাড়তি সহযোগিতাও চাইব।”
সরকারি সূত্রের খবর, এ দিন দুপুর ১২টা থেকে বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত ওই বৈঠক চলে। আজ বুধবার জেলাশাসকদের সঙ্গে বৈঠকে ওই প্রসঙ্গের সূত্র ধরে বেশ কিছু বিষয় আলোচনায় তুলতে পারেন তিনি। সেই সঙ্গে কোন জেলার উন্নয়নে কী কী সমস্যা সমাধান অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে করা দরকার, তা নিয়েও জেলাশাসকদের কাছে সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব চাইবেন বলে ঠিক করেছেন নয়া উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী। সেই সঙ্গে সাত জেলার উন্নয়নে সমান গুরুত্ব দেওয়ার বিষয়টিও প্রশাসনের কর্তাদের কাছে বৈঠকে স্পষ্ট করে দিতে চান মন্ত্রী। সূত্রের খবর, উত্তরবঙ্গের উন্নয়নে রবীন্দ্রনাথবাবু কয়েকটি বিষয়ের ওপর বেশি জোর দিতে চান। ওই ব্যাপারে একটি খসড়া তালিকাও চূড়ান্ত হয়েছে। তা হল, শিল্পায়ন, যোগাযোগ, নদী ভাঙন রোধ ও পর্যটন প্রসার।
দফতর সূত্রেই জানা গিয়েছে, গত পাঁচ বছরে ১৯৩৯ কোটি টাকার মতো কাজ করানো হচ্ছে। মোট প্রকল্প ১১২৫টি। ৮৯২টি প্রকল্প শেষ হয়ে গিয়েছে। ২৩৩টি প্রকল্পের কাজ চলছে। তার মধ্যে অন্তত ১০০ কোটি টাকার কাজ বিভিন্ন সমস্যায় থমকে রয়েছে। জমি সংক্রান্ত সমস্যায় ফাঁসিদেওয়ার ফৌদিগছ এবং খড়িবাড়ি এলাকায় তিনটি জল প্রকল্পের কাজ শেষ পর্বে এসে থমকে পড়েছে। জমি সমস্যায় আটকে রয়েছে জলপাইগুড়ি গদাধর ক্যানেলের সংস্কারের একাংশ কাজ। দুই জন বাসিন্দা ক্যানেলের একাংশের জমি নিজেদের দাবি করে কাজে বাধা দিচ্ছেন। কালচিনিতে সেতু, জলপাইগুড়িতে দ্বারিকামারি সেতুর সংযোজক রাস্তার কাজ জমির সমস্যায় আটকে রয়েছে। খড়িবাড়ির বাতাসিতে নির্মীয়মাণ আইটিআই কলেজ, সুজাপুর পলিটেকনিক কলেজ তৈরির জায়গা নিচু জমি হওয়ায় তা ভরাট করতে মাটি প্রয়োজন। কোথা থেকে মাটি কাটা হবে, তা নিয়ে সমস্যা রয়েছে। আবার কিছু কাজ আটকে রয়েছে ঠিকাদার সংস্থার গড়িমসিতে। জেলাশাসকদের মাধ্যমে বিএলআরও, স্থানীয় পঞ্চায়েত, পুলিশ, প্রশাসনের সাহায্য নিয়ে সমস্যাগুলি মিটিয়ে কাজগুলি সম্পন্ন করার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy