ফাইল চিত্র
লকডাউন শুরু হয়েছে গোটা রাজ্যে। তার মধ্যেও গ্রামের অনেক মানুষ বেরিয়ে পড়ছেন কাজের খোঁজে। কেউ ভ্যানরিকশা, কেউ সাইকেল নিয়ে। তাঁদের অনেকেই এখনও বুঝে উঠতে পাচ্ছেন না, লকডাউনে কী করতে হবে আর কী না করতে হবে। অনেকে বাইরে বেরিয়ে পুলিশের রোষের মুখেও পড়ছেন। কোচবিহারে এমন দৃশ্য দেখা গিয়েছে। পুলিশের লাঠিচার্জের জেরে শহরের পথে ভিড় অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে। কিন্তু গ্রামে এখনও সচেতনতার অভাব স্পষ্ট। তাই গ্রামে গ্রামে মাইকিং ককরে বা লিফলেট ছড়িয়ে মানুষকে আরও সচেতন করার দাবি উঠেছে। পুলিশের লাঠির পাশাপাশি সচেতনতাও প্রয়োজন বলে মনে করছেন অনেকেই। কোচবিহার সদর মহকুমাশাসক সঞ্জয় পাল বলেন, “ইতিমধ্যেই গ্রামে গ্রামে ব্যাপক ভাবে ওই প্রচার শুরু হয়েছে। তার পরেও যাঁরা তা মানছেন না, তাঁদের বিরুদ্ধে আইন মেনে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।”
সোমবার থেকে রাজ্যের একাধিক টাউন এলাকায় লকডাউন শুরু হয়। সেই এলাকা ফাঁকা করতে আসরে নামে পুলিশ। সেই সময় থেকে গ্রামের দিক থেকেও অভিযোগ ওঠে, প্রকাশ্যে ভিড় করছেন বাসিন্দারা। এমনকি, ভিনরাজ্য থেকে ফিরে আসা অনেকেই প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। এর পরেই মঙ্গলবার থেকে রাজ্য জুড়েই লকডাউন ঘোষিত হয়। তার পরেও বুধবার সকালে একাধিক এলাকার বাজারে ভিড় জমতে শুরু করে। গ্রামের পথে ভ্যানরিকশা নিয়ে বেরিয়ে পড়েন মানুষ। সেই অভিযোগ পৌঁছে যায় পুলিশের কাছে। এর পরেই পুলিশ ব্যবস্থা নিতে শুরু করে। প্রথমে সতর্ক, তার পরে লাঠিচার্জ। শিক্ষক শ্যামল বর্মণ বলেন, “আসলে করোনাভাইরাস নিয়ে এখনও অনেকের ধারণা পুরোপুরি নেই। গ্রামের অনেক মানুষই বিষয়টি হাল্কা ভাবে নিয়েছেন হয়তো। তাঁদের আরও সচেতন করতে হবে।”
এ দিন সকাল থেকে অবশ্য সচেতনতা প্রচার দেখা গিয়েছে অনেক এলাকাতেই। সেইসঙ্গে শহরে একাধিক গলিপথ বন্ধ করে দেন এলাকার বাসিন্দারাই। পুলিশের তরফে লিফলেট দিয়ে আবেদন করা হয় মুদি দোকান, আনাজ বাজার বা ওষুধের দোকানে অকারণে ভিড় না করার জন্য। একে অপরের সঙ্গে দূরত্ব বজায় রেখে চলাচলের আবেদনও করা হয়। গ্রামের কয়েকজন বাসিন্দা অবশ্য বলেন, তাঁরা দিনমজুরি করেন। একদিন কাজ না থাকলে পেটে টান পড়ে। বাইরে বেরোতে না পারলে সমস্যা বাড়বে।’’ প্রশাসনের এক আধিকারিক বলেন, “দিনকয়েকের অসুবিধে একটু মেনে নিতে হবে। তার পরেও কারও খুব অসুবিধে হলে সরকার পাশে থাকবে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy