Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪

গণধর্ষণ: রিপোর্ট চায় মহিলা কমিশন

ইতিমধ্যেই ময়নাগুড়ির নির্যাতিতার শারীরিক পরীক্ষা করিয়েছে পুলিশ। নেওয়া হয়েছে জবানবন্দি। শারীরিক পরীক্ষার রিপোর্ট হাতে পেলেই পদক্ষেপ করা হবে বলে পুলিশের দাবি।

প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

নিজস্ব সংবাদদাতা
জলপাইগুড়ি শেষ আপডেট: ২৪ অগস্ট ২০১৯ ০৫:০৮
Share: Save:

কাটমানি ফেরত চাওয়ায় ময়নাগুড়িতে মহিলাকে গণধর্ষণের অভিযোগ নিয়ে রিপোর্ট তলব করল জাতীয় মহিলা কমিশন। সূত্রের খবর, কমিশনের থেকে রাজ্য পুলিশের ডিজির কাছে রিপোর্ট চাওয়া হয়েছে। পুলিশ সূত্রে খবর, রিপোর্ট তৈরির প্রস্তুতি শুরু হয়েছে জেলাতেও। জলপাইগুড়ির জেলা পুলিশ সুপার অভিষেক মোদী বলেন, “কমিশন থেকে এখনও কিছু আমাদের কাছে আসেনি। তবে রিপোর্ট চাইলে নিশ্চই দেওয়া হবে। অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত চলছে। আমরা সবদিকই খতিয়ে দেখছি।”

ইতিমধ্যেই ময়নাগুড়ির নির্যাতিতার শারীরিক পরীক্ষা করিয়েছে পুলিশ। নেওয়া হয়েছে জবানবন্দি। শারীরিক পরীক্ষার রিপোর্ট হাতে পেলেই পদক্ষেপ করা হবে বলে পুলিশের দাবি।তদন্ত শুরু করে তথ্য-প্রমাণ একত্রিত করার কাজ চলছে বলে কমিশনকে জানাবে জেলা পুলিশ, এমনটাই দাবি পুলিশের একটি সূত্রের। তবে অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা-কর্মীরা এখনও এলাকায় রয়েছে বলে দাবি নির্যাতিতার পরিবারের। বিজেপিরও অভিযোগ, গ্রেফতার করা দূরে থাক, পুলিশ এখনও অভিযুক্তদের ডেকেই পাঠায়নি। উল্টে নির্যাতিতার পাশে দাঁড়ানো কর্মীদের পুলিশ হেনস্থা করছে বলে অভিযোগ বিজেপির।

নির্যাতিতা জানান, ১৪ অগস্ট নির্যাতিতা তৃণমূলের এক জনপ্রতিনিধির কাছে কাটমানির টাকা ফেরত চাইতে যান। নির্যাতিতার দাবি, সরকারি ঘর তৈরির জন্য সাত হাজার টাকা নিয়েছিলেন তৃণমূলের ওই জনপ্রতিনিধি। বছর ঘুরলেও সরকারি ঘর না পাওয়ায় সেই টাকা ফেরত আনতে তিনি জনপ্রতিনিধির বাড়ি গিয়েছিলেন। সেখানে হাজির ছিলেন আরও তিনজন তৃণমূল কর্মী তথা ওই নেতার অনুগামী। নির্যাতিতার অভিযোগ, টাকা ফেরত না দিয়ে উল্টে তাঁকে গণধর্ষণ করা হয়। অত্যাচারের কথা চেপে রাখতে হুমকিও দেওয়া হয় বলে অভিযোগ।

গত ১৯ অগস্ট তিনি ময়নাগুড়ি থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। তাঁর পাশে দাঁড়ায় এলাকার বিজেপির কর্মীরা। অভিযোগ পৌঁছয় জাতীয় মহিলা কমিশনের কাছেও। বৃহস্পতিবার কমিশন রাজ্য পুলিশের থেকে রিপোর্ট তলব করেছে বলে সূত্রের খবর।

বিজেপির যুব মোর্চার সভাপতি শ্যাম প্রসাদের অভিযোগ, “তৃণমূল অভিযোগ ধামাচাপা দিতে চাইছে। পুলিশ অভিযুক্তদের গ্রেফতার না করে তাতে প্রশ্রয় দিচ্ছে। উল্টে যে সমাজকর্মীরা মহিলার পাশে দাঁড়িয়েছিলেন তাঁদের হেনস্থা করছে পুলিশ। এলাকার এক সমাজকর্মীকে পুলিশ তুলে নিয়ে গিয়েছে।” জেলা তৃণমূল সভাপতি কৃষ্ণকুমার কল্যাণীর মন্তব্য, “আইনের কাজে আমরা হস্তক্ষেপ করি না। আমরা বিজেপির সন্ত্রাসের প্রতিবাদ করেছি। পরিকল্পিতভাবে মিথ্যে অভিযোগ করছে বিজেপি। মহিলা কমিশন চাইলে নিজেরা খতিয়ে দেখুক, তাতেও সত্যি বদলে দেওয়া যাবে না।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE