উদ্ধার: চামড়া সহ যুবককে ধরে ফেলে বন কর্মীরা। ছবি: বিশ্বরূপ বসাক
ফাঁদ পেতে চিতাবাঘ শিকার করে, সেটিকে খুন করে চামড়া দার্জিলিং থেকে ভুটানে পাচারের পরিকল্পনা হয়েছিল বলে দাবি। ডুয়ার্সের ওদলাবাড়িতে চামড়া সহ যুবককে ধরে ফেলে বন কর্মীরা। বৃহস্পতিবার সকালে চিতাবাঘের চামড়া সহ এক যুবককে ধরে বন দফতর। দুপুরে জলপাইগুড়ি জেলা আদালতে হাজির করা হয় ধৃতকে। বিচারক ধৃতকে জেল হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন। বন দফতরের দাবি, প্রায় চার লক্ষ টাকায় চামড়া বিক্রির চুক্তি হয়েছিলব। ভূটান থেকে চামড়াটি দুবাই অথবা চিনে নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা ছিল বলে প্রাথমিক তদম্তে বন দফতর জানতে পেরেছে। একাধিক আর্ন্তজাতিক পাচারচক্রের সঙ্গে ধৃতের যোগাযোগ রয়েছে বলে দাবি তদন্তকারীদের।
বন দফতর জানিয়েছে, ধৃত যুবক দার্জিলিঙের টাকভর চা বাগানের বাসিন্দা। ওই চা বাগানেই চিতাবাঘ ধরে খুন করা হয়। যুবকের সঙ্গে আরও কয়েকজন ঘটনায় জড়িত রয়েছে বলে দাবি বন দফতরের স্পেশাল টাস্ক ফোর্সের দায়িত্বপ্রাপ্ত সঞ্জয় দও। বন দফতর জানিয়েছে, ধৃত যুবকের নাম আশিস ছেত্রী। দার্জিলিং এর টাকভার চা বাগানের বাসিন্দারা। বনদফতর সুত্রে জানা গিয়েছে, বেশ কিছুদিন ধরেই এলাকায় চিতাবাঘের উপস্থিতি বুঝতে পারছিল আশিস। এর পরেই ফন্দি করে ওই চিতাবাঘটি ধরার।
শিকারীদের সঙ্গে এই বিষয়ে পরামর্শ করেন তিনি। এরপর চিতাবাঘটিকে ধরার জন্য ফাঁদ পেতে রাখে। যে এলাকা দিয়ে চিতা বাঘটি ঘোরাঘুরি করছিল সেই এলাকায় ফাঁদ পেতে রেখেছিল। সেই ফাঁদের আজ থেকে পাঁচ দিন আগে ধরা পড়ে চিতাটি বলে জানালেন বন বিভাগের টাস্ক ফোর্সের প্রধান সঞ্জয় দও। তিনি আরও বলেন, ‘‘এটি একটি পূর্ণ বয়স্ক পুরুষ চিতাবাঘ ছিল। পাঁচ দিন আগে চিতাটিকে মেরে চামড়া আলাদা করে রাখে আশিস। সেই চামড়া ভুটানের এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে চুক্তি হয় বিক্রি করার। জানা গিয়েছে ৩ লক্ষ ২০ হাজার টাকায় দামও হয়। সেই কথা মত চিতাবাঘের চামড়া নিয়ে ভুটানের উদ্দেশ্যে রওনা দেয় সে। এদিন সকালে ডুয়ার্স হয়ে ভুটানে চিতাবাঘের চামড়া পাচার করা হচ্ছিল। সেই মতো ওদলাবাড়ি এলাকা থেকে চিতাবাঘের চামড়া সহ আশিস ছেত্রীকে হাতেনাতে গ্রেফতার করেন বনদফতর। আজকেই আদালতে হাজির করা হয়। বিচারক ধৃতকে জেল হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy